রাশিদুল ইসলাম : [২] বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে এ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে ৫.৬ শতাংশ। কিন্তু সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে অনেক দেশ কোভিড মহামারী মোকাবেলায় এখনো প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারছে না। ফক্স নিউজ
[৩] গত ৮০ বছরে বিশ্ব অর্থনীতি এখন শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির জন্যে মুখিয়ে আছে কিন্তু বিশ্বে দ্রুত হারে টিকাদান কর্মসূচি সফল করে কোভিড মহামারীকে পর্যুদস্ত করা ততটা সম্ভব হয়নি।
[৪] গত জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক এ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আভাস দিলেও যতটুকু টিকাদান কর্মসূচি সফল হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রবৃদ্ধির হার আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আভাস দিচ্ছে।
[৫] গত বছর কোভিড মহামারী শুরু হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে জিডিপি হ্রাস পায় সাড়ে ৩ শতাংশ। কিন্তু এরপর কোভিডের সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় অনেক দেশই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সব দেশ দ্রুত টিকা দিতে পারলে এই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আরো গতি পেত বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
[৬] মন্দার পর ১৯৭৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হয়েছিল, বিশ্বব্যাংক বলছে এবছর হবে ফের আরেকটি দ্রুত প্রবৃদ্ধির বছর।
[৭] বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলছে ফের কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির ফলে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলিকে সুদের হার বৃদ্ধি করতে বাধ্য বা ঋণের বোঝা বৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
[৮] বিশ্ব ব্যাংক সতর্ক করে বলছে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে অসমতা বাড়ছে তা আরেক শঙ্কাজনক পরিস্থিতি ও বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে। অবশ্য বিশ্বব্যাংক আশা করছে এ বছর মার্কিন অর্থনীতি ৬.৮ ও চীনা অর্থনীতি সাড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে নিম্নআয়ের দেশগুলোর অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে ২.৯ শতাংশ হারে।
[৯] বিশ্বব্যাংক মনে করছে কিছু দেশ এখনো টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনতে না পারায় এবং বৈশ্বিকভাবে কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সরকারকে রাজস্ব আদায়ে বেগ পেতে হতে পারে। একই সঙ্গে এসব দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়বে।
[১০] বিশ্বব্যাংক এও বলছে যে, ৯০ শতাংশ উন্নত দেশ আগামী বছর প্রাক-মহামারী স্তরে ফিরে আসলেও উন্নয়নশীল দেশগুলির এক তৃতীয়াংশ একই স্তরে রয়ে যাবে।
[১১] এছাড়া স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে মহামারীটির প্রভাব দারিদ্র্য হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জকে আরও বৃদ্ধি করায় আগের অর্জনকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। কারণ মহামারীর এ সময়টি এখনো অত্যন্ত অনিশ্চিত রয়ে গেছে, চারপাশে বড় ঝুঁকি এবং ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিক চাপের শঙ্কা আরো বাড়ছে।