লিহান লিমা: [২] অপরাধীদের ব্যবহার করা অ্যাপের লাখো এনক্রিপ্ট করা বার্তা পড়ে বিশ্বের ১৮টি দেশে সংঘবদ্ধ অপরাধের সঙ্গে জড়িত শতশত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। বিবিসি, রয়টার্স
[৩] অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই যৌথভাবে এই অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আয়রনসাইড’ চালায়। এরা অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। এই অভিযানে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের ৪ হাজার সদস্যসহ বিশ্বজুড়ে ৯ হাজার পুলিশ সদস্য জড়িত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া বলেছে, তারা অবৈধ মোটরসাইকেল গ্যাংসহ ২২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সঙ্গে ৩টন ড্রাগ ও ২৭ মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড বলেছে, তারা ৩৫জনকে আটক করেছে। ইউরোপল ও এফবিআই বলেছে, তারা এ বিষয়ে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করবে।
[৪] মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘এই অভিযান সংঘবদ্ধ বৈশ্বিক অপরাধ চক্রের ওপর অন্যতম একটি আঘাত। অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য এই অভিযান একটি চরম মুহুর্ত। এর ফলে শুধু অস্ট্রেলিয়াই নয়, বিশ্বেজুড়েই সংঘটিত অপরাধের ওপর একটি প্রভাব পড়বে।’
[৫] ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া পুলিশ ও এফবিআই এই অভিযান শুরু করে। সংঘবদ্ধ অপরাধ গোষ্ঠিগুলোর কাছে বহুল জনপ্রিয় এএনজিরোএম’ ম্যাসেজিং অ্যাপটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছিরেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। যখন অস্ট্রেলিয়ার আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাং নিজেদের সদস্যদের কাছে নিরাপদ যোগাযোগের জন্য এই অ্যাপটি সম্বলিত ফোন বিতরণ করা শুরু করে, তখনই পুলিশ তাদের বার্তা অনুসরণ করতে শুরু করে। অপরাধচক্রের ব্যবহৃত বিশেষায়িত এই ফোনগুলোতে কোনো ভয়েস রেকর্ডার বা ক্যামরা না থাকায় তারা মনে করেছিলো তাদের ব্যবহৃত এই এনক্রিপ্টেট ম্যাসেজিং অ্যাপটি সুরক্ষিত।
[৬]অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ কমিশনার রিস কার্শওয়া বলেন, ১৮টি দেশে অভিযান চালিয়ে কয়েক’শ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে কার্শ আরো বলেন, ‘আমরা তাদের পেছনে নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারী চালিয়েছি। তারা মাদক, চোরচালান, সহিংস হামলা, খুন হতে যাওয়া নিরীহ মানুষদের নিয়ে কথা বলতো। বার্তাগুলো ছিলো স্পষ্ট ও তারা কোনো ধরণের কোডও ব্যবহার করতো না। আমরা এই অ্যাপের মাধ্যমে একটি ক্যাফেতে মেশিনগান হামলা ঠেকাতে সক্ষম হয়েছি। ওই হামলায় ৫জনের একটি পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা ছিলো।’