আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] দুর্বল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর দুর্বল অর্থনৈতিক নীতির কারণে পাকিস্তান কাতারের স্বতন্ত্র ফান্ড থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হারিয়েছে। এই বিনিয়োগ করা হয়েছে বাংলাদেশে। কাতারের এই রাষ্ট্রয়াত তহবিল প্রকৃত আর্থিক সম্পদ নিয়ে কাজ করে। ফলে বেশ কিছু কাঠামোগত সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে পাকিস্তান। মডার্ন ডিপ্লোমেসি
[৩] কাতার ও পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ ভালো। দুই দেশের ভৌগলিক সমান স্বার্থও রয়েছে। তবুও নানান কারণে কাতার প্রতিশ্রুত বিনিয়োগ করেনি। পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিতে চায়নি কাতার সরকার। বন্ধুর মতো নয়, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রকৃত ব্যবসায়ীর মতো করেই।
[৪] বাংলাদেশকে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় স্বল্পোন্নত দেশ বলে মনে করেন বিশ্বের প্রায় সব অর্থনীতিবীদ। দেশটি এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিতই ৬-৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেই চলেছে। ধারাবাহিকতায় কখনই ছিলো না ঘাটতি। গোল্ডম্যান স্যাচেস আর জেপি মরগ্যানের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের আজকাল বিনাপ্রশ্নে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কাতারও সেই স্রোতেই গা ভাসিয়েছে।
[৫] এদিকে আইএমএফ বলছে ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ আর ২০২২ সালে সাড়ে ৭। আর বাংলাদেশ বলছে বিগত বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২ শতাংশ। যা এশিয়ার যেকোনও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আইএমএফ এর ভবিষ্যতবানী সত্য হলে আগামী ২ বছর বাংলাদেশ হবে এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ।