জাকির আকন: [২] চলনবিলের সিংড়া উপজেলার গবাদি পশুর খাদ্য নেপিয়ার ঘাস কে মাছের বিকল্প খাদ্য হিসাবে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে সফলতা লাভ করায় তাক লাগিয়েছেন কৃষক ও মৎস চাষী আব্দুল মতিন দুলাল। সফল চাষীর আব্দুল মতিন দুলালের উন্নত জাতের ঘাস এর খামার দেখতে অনেকেই আসছেন উপজেলার বিয়াস গ্রামে ।
[৩] জানা যায়, উপজেলা সিংড়া উপজেলার বিয়াস গ্রামের আব্দুল মতিন দুলাল ১৯৯২ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ াচষ শুরু করেন। মাছ চাষে সফলতা লাভ কের তিনি আবিস্কার করেন গ্লাস কার্প জাতের মাছের গ্রধান খাদ্য ঘাস। এই মাছের খাবারের জন্য তিনি নিজের জমিতে পরীক্ষামুলক উন্নত জাতের নেপিয়ার ও জাম্বু জাতের ঘাস চাষ করেন। বর্তমানে গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে মাছের খাদ্য হিসাবে সাড়ে সাত বিঘা জমিতে উন্নত জাতের নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন।
[৪] আব্দুল মতিন দুলাল জানান আমার পুকুরে গ্লাস কার্প জাতের মাছের জন্য নেপিয়ার জাতের ঘাস দেই। এই মাছ গুলো এই ঘাস খেয়ে মলত্যাগ করে। আর এই মল গুলো অন্যান্য জাতের মাছ খাদ্য হিসাবে খেয়ে থাকে। মৎস চাষী দুলালের দেখা দেখি অনেক চাষী এই ঘাস চাষ করেছেন। বিয়াস গ্রামের পরিত্যক্ত সাড়ে ৭ বিঘার জমির ঘাস চাষ দেখতে প্রতিদিনই অনেকেই আসছেন। কৃষক সোহরাব আলী জানান এই ঘাস চাষ করে গোখাদ্য ও মাছের খাদ্য হিসাবে উভয়ের ব্যবহার করা যায় ফলে এলাকায় অনেকেই এই ঘাস চাষ করছেন।
[৫] উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এস,এম খুরশিদ আলম জানান, কৃষক দুলালের ঘাস চাষ গাভী ও মাছের জন্য চাষ ভাল উদ্যোগ। সরকার কে চারণ ভুমি কমে যাওয়ায় আমরা ঘাস চাষে আগ্রহীদের মধ্যে বিনা মুল্য ঘাসের কাটিং বিতরণ ও বিভিন্ন সহযোগীতা দিয়ে আসছি। আশা করি দুলালের ঘাস চাষে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এই গাস চাষে এগিয়ে আসবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী