শাহীন খন্দকার, মহসীন কবির: [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ হাজার ৮৩৯ জন। রোববার পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৮ লাখ ১০,৯৯০ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫১,৩২২ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশে মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন চার জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন, রংপুর বিভাগে ৫ জন, সিলেট বিভাগের তিনজন ও বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন।
[৩] এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ছয়জন ও বাড়িতে একজন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২৩ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ বছরের নিচে তিনজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
[৪] এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৭৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৭২১৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
[৫] গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৮৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৬৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৫৭১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ৯৪৩ জন।
[৬] এদিকে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩১টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬১৩টি।
[৭] এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩টি। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৮ শতাংশ।