মিনহাজুল আবেদীন: [২] বর্তমান সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা করোনাভাইরাস সংক্রমণে নতুন করে হটস্পটে পরিণত হয়েছে।
[৩] তথ্য মতে, বাগেরহাটের মংলায় গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণের শতকরা হার ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে উঠানামা করছে, যা নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
[৪] এদিকে খুলনায় সংক্রমণ ক্রমান্নয়ে পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।
[৫] চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পরীক্ষা অনুপাতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭০ শতাংশ রোগী। যা স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
[৬] শনিবার বিবিসি বাংলায় বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে. এম হুমায়ুন কবির বলেন, পুরো বাগেরহাট জেলার পরিস্থিতি নাজুক না হলেও মংলা উপজেলায় সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে।
[৭] কবির বলেন, মংলা উপজেলায় সংক্রমণ গত ২৬ মে থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন রোগী চিকিৎসাধীন আছে ২৬৪ জন। এর মধ্যে ১৬৪ জনই মংলা উপজেলায়।
[৮] তিনি বলেন, মংলায় সমুদ্র বন্দর এবং ইপিজেড আছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ কাজ করে। বন্দরে বিদেশ থেকেও অনেক জাহাজ আসে। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে। ভারত থেকে অনেক নৌযান আসে। বাগেরহাট যদিও সীমান্তবর্তী জেলা নয়, কিন্তু সীমান্তবর্তী জেলার বৈশিষ্ট এখানে আছে। এটিই এই অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ।
[৯] এদিকে স্থানীয় সাংবাদিক এম এম আকরামুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় সরকারি হাসপাতালে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। তারপরেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনও উদ্বেগ নেই। সম্পাদনা: রাশিদ