শিরোনাম
◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২১, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ০৬ জুন, ২০২১, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংক্রমণ সবচেয়ে কম ঢাকায়, বেশি খুলনায়

নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই ঢাকা মহানগরী তথা ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ থাকলে বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সংক্রমণ ঢাকা বিভাগে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের তথ্যমতে, ঢাকা বিভাগে করোনা রোগী শনাক্তের গড় হার ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে করোনা রোগী শনাক্তের হার মাত্র ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীতে ৫ হাজার ৮৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪১ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই বিভাগে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ফরিদপুরে। সেখানে শনাক্ত হার ৪৮ শতাংশের বেশি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তবে চট্টগ্রাম মহানগরীতে এই হার ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বিভাগটিতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ নোয়াখালীতে। সেখানে শনাক্ত হার ৩২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৩৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বিভাগগুলোর মধ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি খুলনায়। সেখানে গতকাল ২৮ দশমিক ৫১ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিভাগটিতে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বাগেরহাট জেলায়। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হার ৮৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এ ছাড়া সাতক্ষীরায় প্রায় ৪৭ শতাংশ, ঝিনাইদহে ৩৫ শতাংশ ও খুলনা সদরে ২৯ শতাংশ হারে এদিন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত হার রাজশাহী বিভাগে। সেখানে শনিবার রোগী শনাক্তের গড় হার ছিল ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। এই বিভাগের নওগাঁয় শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০০ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন জেলায় ২ জনের নমুনা পরীক্ষায় দুজনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আলোচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এদিন শনাক্ত হার ছিল ৫৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী সদরে এদিন প্রায় ৪৬ শতাংশ ও নাটোরে ৪৪ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে।

অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে সিলেটে ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ, রংপুরে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং বরিশালে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের গড় হার বেড়ে ১১ শতাংশে উঠেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

শনাক্তের এই হার গত ৩৯ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি ১৩ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৪৭ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে শনিবার দেশে আরো ৪৩ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। একদিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ২৭ দিন বা প্রায় চার সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ গত ৯ মে তারিখে এর চেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।

গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর শনিবার ছিল ৪৫৪তম দিন। অধিদপ্তরের এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ৫০৯টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৪টি জিন-এক্সপার্ট, ৩৩৪টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ও ১৩১টি আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার। এসব পরীক্ষাগারে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৭৬৬ জনের। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ১১৫ জনের, যার মধ্যে ৫১০টি নমুনা ছিল বিদেশ গমনেচ্ছুদের।

এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ২৬০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ৯ হাজার ৩১৪ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে গড়ে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ লোকের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ হাজার ৮০১ জন।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬৭ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪২৫ জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৮ ও সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩০ ও নারী ১৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত ৯ হাজার ২৩১ পুরুষ ও ৩ হাজার ৫৭০ নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭২ দশমিক ১১ ও নারী ২৭ দশমিক ৮৯ ভাগ।

এদিন সর্বোচ্চ ১২ জন করে মারা গেছেন ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রামে ৮, খুলনায় ৫, রংপুরে ৩, ময়মনসিংহে ২ এবং সিলেটে ১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭ হাজার ২২৫ জন মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২ হাজার ৪৪৫, খুলনায় ৮১০, রাজশাহীতে ৭২১, রংপুরে ৪৮২, সিলেটে ৪৭০, বরিশালে ৩৮৮ এবং ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন ২৬০ জন মারা গেছেন।

বয়স অনুযায়ী সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ২১, ৫১-৬০ বছরের ১৩, ৪১-৫০ বছরের ২, ৩১-৪০ বছরের ৫, ২১-৩০ বছরের ১ জন এবং ০-১০ বছরের শিশু ছিল একটি। এদিন ৪২ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাসায় মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৬০ রোগীকে আইসোলেশনে এবং ১ হাজার ৩৫৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসোলেশনে ২০ হাজার ৩৬৭ এবং কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৪ হাজার ১৮৯ জন।

সারা দেশে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোয় ১১ হাজার ৯৩১টি সাধারণ বেডের মধ্যে শনিবার রোগী ভর্তি ছিল ২ হাজার ৬২২টিতে। বাকিগুলো খালি ছিল। এ ছাড়া ১ হাজার ১২৪টি আইসিইউর মধ্যে এদিন রোগী ভর্তি ছিল ৩১৪টিতে। - দেশ রূপান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়