সালেহ্ বিপ্লব: [২] ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের উপকূলে লিনেটহোম নামের এ দ্বীপ তৈরির প্রকল্প অনুমোদন করেছে দেশটির সংসদ। বিবিসি বাংলা
[৩] সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ঝুঁকিতে থাকা কোপেনহেগেন বন্দরকে সুরক্ষা দেয়া এর প্রধান লক্ষ্য। ৩৫ হাজার লোকের বসবাসের উপযোগী করে এই দ্বীপ তৈরি করা হচ্ছে। একটি রিং রোড, সুড়ঙ্গপথ ও মেট্রো লাইন দিয়ে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এই দ্বীপকে যুক্ত করা হবে।
[৪] প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে এ বছরের শেষে। কৃত্রিম এই দ্বীপের আয়তন হবে ৪০০টি ফুটবল মাঠের সমান। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে শুধু মাত্র বদ্বীপ এলাকাটি গড়ে তুলতেই প্রয়োজন হবে আট কোটি টন মাটি।
[৫] লিনেটহোম দ্বীপকে ঘিরে একটি বেড়িবাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেটি বন্দরকে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি এবং ঝড়ঝঞ্ঝার জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচাবে। পরিকল্পনা মাফিক সব কাজ এগোলে উপকূলে এই দ্বীপ তৈরির জন্য ভিত বসানোর বেশিরভাগ কাজ ২০৩৫ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এবং পুরো দ্বীপটি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে ২০৭০ সালে।
[৬] তবে পরিবেশবাদী দলগুলো ইউরোপিয়ান বিচার আদালতে এই উন্নয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
[৭] পরিবেশবাদী একটি সংস্থা বলেছে, নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেলে কাঁচামাল সরবরাহ করার জন্য কোপেনহেগেন দিয়ে প্রতিদিন সাড়ে তিনশ লরিকে যাতায়াত করতে হবে। এটা জীবনযাত্রাকে মারাত্মক ব্যাহত করবে।
[৮] তারা আরও বলেছেন, সমুদ্রের তলদেশে যে পলি জমা হয়ে আছে এই নির্মাণ কাজের ফলে তা ব্যাপকভাবে নাড়া খাবে। এর ফলে সাগরের পানিতে এই তলানি মিশে গিয়ে পানির মান দূষিত হতে পারে। সামুদ্রিক জীবন ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
[৯] এই দ্বীপ তৈরির জন্য সংসদে বিল পাস হবার সময় সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা।
[১০] নিকোলাম উলহেড নামে একজন প্রতিবাদকারী বলেন, নভেম্বরে স্থানীয় নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ সঠিক হয়নি।
[১১] তিনি বলেন, ডেনমার্কের ইতিহাসে এটা এ যাবত সবচেয়ে বিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্প নিয়ে জনগণের মতামত জানানোর সুযোগ ছিল স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে। কিন্তু মানুষকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলো।
[১২] তবে ডেনমার্কের সড়কে মালামাল পরিবহন বিষয়ক সমিতির প্রধান কারিনা ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, লিনেটহোম প্রকল্পের নির্মাণ কাজে মালামাল পরিবহনের সময় "পরিবেশ বান্ধব" পরিবহন ব্যবহার করার কথা ভাবা যেতে পারে।