রিয়াজ মাহমুদ : [২] লক্ষ্মীপুরের রামগতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও মেঘনা নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কালভার্ড সহ পাকা সড়ক। মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে গ্রামীণ জনপদে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন লন্ডভন্ড।
[৩] সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চরসেকান্তর-মুন্সিরহাট সড়ক, রামগতি বাজার-আলেকজান্ডার সড়ক, বিবিরহাট রামদয়াল সড়ক ও বিবিরহাট মাজার রোডসহ মোট ৮ টি পাকা সড়কের ১১ কিলোমিটার ও ৪ টি কালভার্ট ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ক্ষতি নির্ধারণ করেছে সংশ্লিষ্ট অফিস।
[৪] এই সড়কগুলোর মধ্যে চরসেকান্তর -জনতা বাজার সড়কটির সংষ্কার কাজ (কার্পেটিং) শেষ হয়েছে মাত্র এক সাপ্তাহ আগে। এরই মধ্যে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি উঠে সড়কটির কার্পেটিং উঠে যায়। প্রচুর গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ঐ সড়কে চলাচলকারী ২০ হাজারের মতো মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। হঠাৎ করে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।
[৫] বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামেই প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পুরো ইউনিয়নে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে একাধিক গ্রামে। যানবাহন চলাচল না করতে পারায় ব্যাপক জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। চরসেকান্তর এলাকার মনির হাওলাদার, নুরুল ইসলাম ও ইরফান জানান, কয়েকদিন আগে চলাচল উপযোগী হওয়া সড়কটির উপর জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ভেঙে গেছে। রামগতি উপজেলার চরগাজী, বড়খেরী, চরনআলেকজান্ডার, চররমিজ ও চরআলগী ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামেই প্রবেশ করেছে মেঘনানদীর জোয়ারের পানি।
[৬] ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এলজিইডির নির্মাণকৃত বেশ কয়েকটি পাকা সড়ক ও কালভার্ট। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত মেরামতের দাবী এলাকাবাসীর। উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী মোঃ আব্দুর রহিম জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রামগতিতে ৪ টি কালভার্ট,৮ টি পাকা সড়কের ১১ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।এর মধ্য রামগতি-আলেকজান্ডার সড়ক ও চরসেকান্তর-জনতাবাজার সড়ক অন্যতম।
[৭] স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন মাসুম বলেন, নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে এ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও কালভার্টের তালিকা তৈরী করে র্ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন,উপকূলীয় এ অঞ্চলে জোয়ারে প্লাবিত হয়ে রাস্তঘাটের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি তালিকা তৈরীর কাজ চলমান। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো আমি নিজে সরেজমিনে পরিদর্শন করে আসছি।দ্রুত মেরামতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী