কামরুল ইসলাম: [২] চট্টগ্রামে দেশের একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে পূর্ণ ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এক সপ্তাহ পর জুম বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢল, ও লবণাক্ততা কমায় মা মাছ পূর্ণ ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছে ডিম সংগ্রহকারীরা।
[৩] বুধবার (২ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার পর থেকে ডিম ছাড়ে মা মাছ। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হালদার ডিম সংগ্রহকারী রওসঙ্গীর। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল রাত থেকে যে হারে জুম বৃষ্টি নামে এবং পরিবেশ সম্পূর্ন অনুকলে থাকার ফলে স্বাবাভিক নিয়মে ডিম ছাড়ে।
[৪] চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানিয়েছেন, ঝুম বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে পরিপূর্ণ ডিম ছেড়েছে মা মাছ। পাশাপাশি হালদায় লবণাক্ততা কমে স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে লবণাক্তের পরিমাণ ০.০৬ পিপিটি যা একেবারেই স্বাভাবিক। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডিমের পরিমাণ কম বলে জানিয়েছেন তিনি।
[৫] জানা গেছে, হালদা নদীর রাউজান ও হাটহাজারী অংশের আজিমের ঘাট, অংকুরি ঘোনা, কাগতিয়ার মুখ, গড়দুয়ারা নয়াহাট, রাম দাশ মুন্সির ঘাট, মাছুয়া ঘোনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শত শত নৌকা নিয়ে কার্প জাতীয় মাছের ডিম সংগ্রহ করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। নদীর উপরিভাগের সংগ্রহকারীরা বেশি ডিম পেয়েছেন। অংকুতিঘোনা, গড়দুয়ারা নয়া হাটে কোনো ডিম সংগ্রহকারী ১০/১২ বালতি আবার কেউ কেউ ৫/৭ বালতি করে পেয়েছেন। সব চেয়ে কম ডিম পেয়েছেন নীচের অংশ আজিমের ঘাট এলাকায় সবচেয়ে কম ডিম পাওয়া গেছে।
[৬] উল্ল্যেখ গত ২৫ মে রাত ১২টার পর, পরদিন দুপুর ১২টার পর ও রাত ১০টার পর তিন দফায় নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াছ ও পূর্নিমার প্রভাবে হালদায় লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় বেশিরভাগ ডিম নষ্ট হয়ে যায়।
[৭] উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে নমুনা ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। তখন ৩৪৩টি নৌকায় ৬শতাধিক ডিম সংগ্রহকারীর মধ্যে প্রত্যেক নৌকা গড়ে ২ বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছিল। বুধবার (২ জুন) বিকাল থেকে যারা ডিম পেয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ একশ গ্রাম, আবার কেউ দেড়শ থেকে আড়াইশ গ্রামও পেয়েছেন। তবে বর্তমানে ডিমের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[৮] হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, এবার নদীর উপরিভাগ থেকে বেশি ডিম সংগ্রহ করেছেন আহরণকারীরা। প্রতিবারে ২৫০/ ৩৫০ গ্রাম করে কয়েক বালতি ডিম পেয়েছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি