মিনহাজুল আবেদীন: [২] বৃহস্পতিবার (৩ জুন) যমুনা টিভির এক প্রতিবেদনে নিজের মুখে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ভারত থেকে ফিরে আসা এক অসহায় কিশোরী।
[৩] তিনি বলেন, রাজধানীর হাতিরঝিলে বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে এসে পরিচয় হয়েছিলো হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয় বাবুর সঙ্গে। তার বড় ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হয়, পর্যায়ক্রমে তাকে নম্বর দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। কিছুদিন পর গাজীপুরসহ বিভিন্ন রিসোর্টে নেয়া হয়। তারপর কুষ্টিয়া লালন শাহ্ মাজারে দেখতে যাওয়ার কথা বলে সাতক্ষীরাতে নেয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে ব্যাঙ্গালুরে নেয়া হয়। বাধা দেয়া হলেও কোনও কাজ হয়নি।
[৪] তিনি আরও বলেন, ভারতে যাওয়ার পর একটা লোক আসে হৃদয়ের কাছে, তার হাতে আমাকে দেয়া হয়। সেই ব্যক্তি আবার আরেকজনের কাছে আমাকে হস্তান্তর করে। এভাবেই আমাকে হাত বদল করা হয়। ৭৭ দিন ধরে আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চলে। বিভিন্ন সময় আমাকে নেয়া হতো দূরের কোনও হোটেলে। একেরপর এক মানুষ দিয়ে আমাকে ধর্ষণ করা হতো। তাদেরকে হৃদয় শিখিয়ে দিতেন। প্রায় সময় মাদক সেবন করানো হতো। এরপর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হতো টাকা।
[৫] তার মতে, একেকটি র্যাকেটে কিশোরী-তরুণীর সংখ্যা ৩৫ থেকে ৫০ জন। এর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকে একেকজন গডফাদার। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। সম্পাদনা: রাশিদ