মেহেদী হাসান: [২] ১৯১৫ সালের ৩ জুন ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে । নাইট বা নাইটহুড হচ্ছে ব্রিটিশ রাজকীয় সম্মাননার সর্বোচ্চ স্তর। বৃটেনের নাম বিশ্বদরবারে আলোকিত করলে বা দেশের জন্য অনন্য সাধারণ কাজ করলে স্বীকৃতি হিসেবে এই উপাধিতে ভুষিত করা হয়। এই খেতাবপ্রাপ্তদের ‘স্যার’ হিসেবে সম্মোধন বাধ্যতামূলক।
[৩] কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডে প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখে বিচলিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সে বছর ৩০ মে ইংরেজ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
[৪] সেই সময় তিনি ভারতের ভাইসরয়ের কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন : ‘কয়েকটি স্থানীয় হাঙ্গামা শান্ত করিবার উপলক্ষে পাঞ্জাব গভর্নমেন্ট যে সকল উপায় অবলম্বন করিয়াছেন, তাহার প্রচন্ডতায় আজ আমাদের মন কঠিন আঘাত পাইয়া ভারতীয় প্রজাবৃন্দের নিরুপায় অবস্থার কথা স্পষ্ট উপলব্ধি করিয়াছে। পাঞ্জাবি নেতারা যে অপমান ও দুঃখ ভোগ করিয়াছেন, নিষেধরুদ্ধ কঠোর বাধা রদ করিয়াও তাহার বিষ ভারতবর্ষের দূর দূরান্তে ব্যাপ্ত হইয়াছে। তদুপলক্ষে সর্বত্র জনসাধারণের মনে যে বেদনাপূর্ণ ধিক্কার জন্ম হইল আমাদের কর্তৃপক্ষ তাহাকে উপেক্ষা করিয়াছে এবং সম্ভবত এই কল্পনা করিয়া তাহারা আত্মশ্লাঘা বোধ করিতেছেন যে, ইহাতে আমাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হইল।’
[৫] দীর্ঘ দেড় মাস পর রবীন্দ্রনাথকে নাইটহুড ফিরিয়ে দেয় ইয়রেজ সরকার।