কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর দুই সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও ও গিলিয়ান ট্রিগস বলেন, ভাসানচরে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থার সহায়তা করা উচিত।
[৩] ভাসানচরে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ করেছে উল্লেখ করে রাউফ মাজাও বলেন, যেসব রোহিঙ্গা এখন ভাসানচরে আছে এবং যারা যাবে তারা যেন মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে এটা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা উচিত।
[৪] ভাসানচরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবিকাসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেখানে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। যাতে রোহিঙ্গারা সেখানে অলস সময় না পায়।
[৫] ভাসানচরসহ রোহিঙ্গারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ও বাংলাদেশ সরকারের জন্য জাতিসংঘের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে বলে জানান রাউফ মাজাও।
[৬] ইউএনএইচসিআর এর সুরক্ষাবিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস বলেন, বাংলাদেশ সরকার উদারতার সঙ্গে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে। রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে সম্ভাব্য সুযোগ খতিয়ে দেখা যেতে পারে, এটা স্থায়ী সমাধান নয়।
[৭] মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মোটেই সহজ নয়, তবে মিয়ানমারকে রাজি করাতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের আদি নিবাসে ফেরত যাওয়াই হলো স্থায়ী সমাধান।