কূটনৈতিক প্রতিবেদক:[২] রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সম্প্রতি বিদেশি কূটনীতিক এবং ওআইসির প্রতিনিধি দল ভাসানচরে গেছে। আমিও সেখানে গেছি। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দুই সহকারী হাইকমিশনারের উপস্থিতির সময় যা ঘটেছে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত। তবে এটা যে একেবারে অস্বাভাবিক তা বলা যায় না।
[৩] তারা যখন কক্সবাজারের সঙ্গে যখন তুলনা করেন, কিছু পার্থক্য তো দেখতেই পান। জীবিকার যে বিকল্প ছিল তা ভাসানচরে পুরোপুরি করা যায়নি।
[৪] অন্যান্য যেসব কার্যক্রম যেমন, টুকটাক ব্যবসা বা জীবিকার উপাদান এখানে নেই। এসব কারণে তাদের মধ্যে কিছুটা অসহিষ্ণুতা আছে বলে মনে হয়।
[৫] জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ভাসানচরে যাচ্ছেন এটা রোহিঙ্গারা আগে থেকেই জানতেন। মাঝি হিসেবে পরিচিত রোহিঙ্গাদের নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের মতবিনিময়ের ব্যবস্থা ছিল। মাঝিদের ওপর হয়তো আস্থা না থাকায় রোহিঙ্গাদের অন্তত চার থেকে পাঁচশ সেখানে জড়ো হলে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
[৬] ‘জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন ছিল দুটি জায়গায়। ভাসানচর নিরাপদ কি না, আর রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে সেখানে স্বেচ্ছায় নেওয়া হয়েছে কি না। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য নিরাপদ। আর রোহিঙ্গারা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে এসেছেন।