শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০২১, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ০১ জুন, ২০২১, ০৩:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ৪২ টন পপি বীজ আটক

রিয়াজুর রহমান রিয়াজ: [২] সরিষা বীজের ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়েছে কয়েক টন আফিম (মাদক) তৈরির উপকরণ পপি বীজ। পরে চট্টগ্রাম কাস্টম আটক করেছে পপি বীজের বিশাল চালান। সাধারণত আফিম তৈরির জন্য দেশের পাহড়ি অঞ্চলগুলোতে অবৈধভাবে পপি ফুলের চাষ করা হয়।

[৩] মঙ্গলবার (১ জুন) চট্টগ্রাম কাস্টমস জানিয়েছে, তারা নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

[৪] কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, পুরান ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমিন ট্রেড সেন্টার সরিষা বীজ ঘোষণায় মালয়েশিয়া হতে দুই কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল পণ্য চালানটি খালাসের জন্য এ দপ্তরে ১৮ এপ্রিল বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে এবং ঘোষিত পণ্য সরিষা বীজের শুল্ক বাবদ ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করে। শুল্ক-করাদি পরিশোধ শেষে পণ্য চালানটি খালাস গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।

[৫] এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করে কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম। পরবর্তীতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় আমদানিকারকের ঘোষিত ৫৪ টন সরিষা বীজের স্থলে ১২ টন সরিষা বীজ এবং ৪২ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ (পোস্তা দানা) পাওয়া যায়।

[৬] উল্লেখ্য, একই রকম লেখা ও একই রঙের বস্তায় কন্টেইনারের সামনের অংশে সরিষা বীজ ও পিছনের দিকে পপি বীজ পাওয়া যায়।

[৭] বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, পণ্যের বর্ণনা সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চয়তার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পণ্যের নমুনা ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে পাওয়া নমুনাকে পপি বীজ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেয় সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। আফিমসহ বিভিন্ন রকমের মাদক তৈরিতে পপি বীজ ব্যবহার করা হয় বলে তা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

[৮] তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী ৪২ টন পপি বীজের বিক্রয় মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা হলেও সরিষা বীজের মূল্য বাবদ এলসি’র মাধ্যমে ২২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ পণ্যের অবশিষ্ট মূল্য অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে পরিশোধ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে; যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।

[৯] মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করায় সংশ্লিষ্টদের আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এছাড়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কাস্টম হাউসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিট। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়