আসাদুজ্জামান : [২] সোমবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ আবার কখনও হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত। এই প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ বিধ্বস্ত উপকুলীয় জনপদে বানভাসীদের মাঝে নেসমে এসেছে সীমাহীন দূর্ভোগ।
[৩] নীচে লোনা পানি, মাথার উপরে মূষলধারে বৃষ্টি এমনই পরিবেশের মধ্যে হাজার হাজার দূর্গত মানুষ কাকডাকা ভোর থেকে ঝুড়ি কোদাল নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া বেঁড়িবাধ নির্মানে প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দুপুরের জোয়ারে আবারও প্লাবিত হতে থাকে উপকুলের বিস্তির্ণ জনপদ। দূর্গত অঞ্চলে মানুষের এ দূর্ভোগের চিত্র ফুটে উঠেছে।
[৪] গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের আঘাতে লণ্ড ভণ্ড হয়ে যায় সাতক্ষীরার উপকুলীয় জনপদ।
[৫] পানি উন্নয়র বোর্ডের বেঁড়িবাধ ভেঙে প্লাবিত হয় শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ইতিমধ্যে কয়েকটি পয়েন্টের বেঁড়িবাধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধ ভেঙে বসতি জনপদ ও চিংড়ি ঘের নদীর লোনা পানিতে ভেসে একাকার হয়ে যায়। গৃহ হারা এসব লোকজন গ্রামীন সড়কে টোঙ ঘর আবার কেউ কেউ নৌকায় বসতি স্থাপন করে। গত ৫ দিন ধরে তাদের জীবনে নেমে এসেছে অনামিশার অন্ধকার। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :