অনলাইন ডেস্ক: ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে বিশাল ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার।গত বুধবার (২৬ মে) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের জন্য এই অর্থসাহায্য ঘোষণা করেছেন। এক টুইটে কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সমর্থন অব্যাহত রাখব।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে বেশ কয়েকবার মধ্যস্থতা করেছে কাতার। ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক ও উন্নয়নমূলক সহায়তা হিসেবে ইতোমধ্যে শত শত কোটি ডলার দিয়েছে মুসলিম এই দেশটি।
কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কিউএনএ বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বিধ্বস্ত বাড়িঘরসহ বিভিন্ন পরিষেবা পুনর্নির্মাণে এই অর্থ সাহায্য দেয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাসেলেট বলেছেন, সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলা সম্ভবত যুদ্ধাপরাধ। সামরিক উদ্দেশে ব্যবহৃত ভবনে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। চলতি মাসের শুরুতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যকার প্রাণঘাতী সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই জাতিসংঘের কর্মকর্তা।-খবর এএফপি
তিনি জানান, যদিও ইসরায়েল বেশ কিছু পূর্বসতর্কতা নিয়েছে, কোনো কোনো ঘটনায় হামলার আগে সতর্কবার্তা দিয়েছে। কিন্তু ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিমান হামলায় ব্যাপক বেসামরিক প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া বেসামরিক অবকাঠামোগুলোতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দখলদার বাহিনী।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার বলেন, যদি এই হামলায় বেসামরিক মানুষ এবং বেসামরিক স্থাপনায় প্রভাব বাছবিচারহীন ও অনুপাতহীন হয়, তবে এমন হামলায় সম্ভবত যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগে উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি নির্বিচার বিমান হামলায় ২৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬৬টি শিশু রয়েছে। ১১ দিনের এই সহিংসতায় এক হাজার ৯০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।