মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহীতে এখন চলছে আমের মৌসুম। নগরী ও জেলার হাট-বাজারগুলোতে জমে উঠেছে আমের বাজার। বিশেষ করে এ এলাকার সর্ববৃহৎ পুঠিয়া-বানেশ্বর এবং বাঘার মোকামে জমে উঠেছে আম বাজার।
[৩] ইতিমধ্যে রাজশাহীর আম দেশের বাইরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরাও আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ট্রাক ভর্তি করে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনকেও আম পাঠাচ্ছেন অনেকে।
[৪] ফলে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। আর আমের বেচাবিক্রি জমে ওঠায় নগদ টাকা ঢুকছে চাষিদের পকেটে। এতে চাঙা হয়ে উঠেছে রাজশাহীর অর্থনীতি। রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবার আমের ভরা মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে তারা মনে করেন।
[৫] ইতিমধ্যে বিভিন্ন গুটি জাতীয় আমের সাথে পুরোদমে এখন বাজারে আসছে গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত ও লক্ষণ ভোগ। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন আম কেনা-বেচায় কয়েক কোটি টাকা লেন-দেন হচ্ছে।
[৬] রাজশাহীর শিল্প ও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছর আম এলেই রাজশাহীর অর্থনীতি চাঙা হয়ে ওঠে। এবার আমের উৎপাদন গত বছরের চেয়েও ভালো। চাষিরা ভালো দামও পাচ্ছেন। তারা আশা করছেন, আমকে ঘিরে সব মিলিয়ে এবার এখানে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।
[৭] এদিকে রাজশাহী থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মীয়-স্বজনের কাছে আম পাঠানো হচ্ছে। ফলে জমে উঠেছে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা। কুরিয়ারে ঝুড়ি এবং কার্টুনে ভরে আম পাঠানো হচ্ছে। অতিরিক্ত আম নিয়ে যাওয়ার চাপ সামাল দিতে
কুরিয়ার সার্ভিসগুলো বৃদ্ধি করেছে গাড়ির সংখ্যাও।
[৮] সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর শাখার একটি সুত্র জানায় , তারা বানেশ্বরেই জেলার সবচেয়ে বড় আমের হাট। তাই এখান থেকে প্রচুর আম পাঠানো হয়। এখান থেকে প্রতিদিন তারা ৭০০ থেকে ৮০০ ক্যারেট আম পাঠাচ্ছেন।
[৯] তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, আর কয়েকদিন পর হিমসাগ এবং লেংড়া উঠবে তখন চাপ আরো বড়বে।
[১০] শনিবার সকালে বানেশ্বর ও বিড়ালদহ বাজারের আমের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে চলছে আম কেনা-বেচা। পুরো এলাকা যেনো এখন আমময় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে আম কেনা- বেচার ধুম। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে বানেশ্বর বাজার এখন বিগত বছর গুলোর চেয়ে বেশি সরগরম। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ