মো. ইউসুফ মিয়া: [২] রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোর্দ্দমেগচামী গ্রামের বাসিন্ধা অবসরপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খায়রুল বাশার খান। তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্র হাতে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। এখন সমাজসেবার ব্রত নিয়ে মানুষের সেবা করে চলেছেন। তার বদৌলতে চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন ৩৮২জন দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ।
[৩] শনিবার (২৯ মে) ফরিদপুরের মধুখালী মালেকা চক্ষু হাসপাতালে ১২জন দারিদ্র ও অসহায় মানুষের নিজের অর্থায়নে চোঁখের ছানি অপারেশন করেছেন।।
[৪] তারা হলেন- ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার রহিমপুর গ্রামের সিদ্দিক শেখ, মির্জাপুর গ্রামের আঃ ওহাব, বড়াইল গ্রামের সকিনা বেগম, তারাপুর গ্রামের আমেনা বেগম, কুরানিয়ার চর গ্রামের আনোয়ারা বেগম, সুফিয়া বেগম, আলাউদ্দিন শেখ, জবেদা বেগম, তারু শেখ, ফরিদপুর সদর উপজেলার চতর গ্রামের কমেলা বেগম, মাগুরার সদর উপজেলার ধলহারা গ্রামের তাজিনা, বালিয়াকান্দি উপজেলার বাকসাডাঙ্গী গ্রামের ইউসুফ আলী।
[৫] সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ইতোমধ্যে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদক, মহাত্ম্যা গান্ধী পুরস্কার, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদকসহ ৫টি পুরস্কার। ব্যক্তিজীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক খায়রুল বাশার খান ১৯৮০ সালের ১ জুন আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। এখন অবসর জীবন-যাপন করছেন। বিশেষ করে যাদের চোখে ছানি পড়েছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন লোকজনকে খুঁজে বের করে ছানি অপারেশন করান নিজ খরচে। অবশ্য তাকে এ-কাজে সহযোগিতা করেন তার জামাতা খন্দকার শামীম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাকে একটু ছাড় দেন। তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষকেও সাধ্যমতো সাহায্য করেন তিনি। জটিল রোগে যারা আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তাও দেন খায়রুল বাশার খান।
[৬] খায়রুল বাশার খান বলেন, টাকার অভাবে একজন মানুষ ধীরে ধীরে চোখের আলো হারিয়ে ফেলবে, এটা হতে পারে না। তাই তিনি মানুষকে সহায়তা করেন। চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর এখন পুরোপুরি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। সমাজসেবাতেই তার আনন্দ। যতদিন বেঁচে থাকবেন এ সেবা প্রদানে অব্যহত রাখার অঙ্গিকার করেন। সম্পাদনা: হ্যাপি