স্পোর্টস ডেস্ক: চুক্তি বাতিলের এক বছর পরে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকি। নতুন চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারা নয়, বরং যৌন হয়রানির অভিযোগেই নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছিল তারা। নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল কাউন্সেল হিলারি ক্রেন। যদিও এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমারের মুখপাত্র।
শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নাইকির সঙ্গে নেইমারের সম্পর্কটা, দীর্ঘ ১৫ বছরের পুরোনো। তবুও অভিযোগ ছিল গুরুতর, যার শুরুটা ২০১৬ সালে।
সেবার নিউইয়র্কে নাইকির এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ব্রাজেলিয়ান সুপার সেনসেশন নেইমার। তখন সেখানে হোটেল কামরায় নাইকির এক কর্মীকে যৌন হয়রানি করেছেন তিনি, অভিযোগ চাউড় হয়েছিল তেমনি। ২০১৮ সালে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন সেই নারী। পরে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
২০১৯ সালে একটি আইনি প্রতিষ্ঠানকে গোটা ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয় নাইকি। দু’পক্ষের সম্পর্কের ছেদ পড়তে থাকে সেখান থেকেই। চুক্তি থাকলেও তারপর আর নাইকির আর কোনো বিপণন কিংবা প্রচারে অংশ নেননি নেইমার। এমনকি চুক্তির ৮ বছর বাকি থাকেও শেষ পর্যন্ত সম্পর্কচ্ছেদ করে দু’পক্ষই। পরে আরেক ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পিউমার সঙ্গে চুক্তি করেন নেইমার।
অবশ্য তখন জানা গিয়েছিল, নতুন চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় দুই পক্ষ আলাদা হয়। তবে চুক্তি বাতিলের বছরখানেক পর বোমা ফাটাল যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তাদের দেয়া রিপোর্টে বলা হয়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রমে নেইমার সহায়তা করেননি বলেই, তার পাশ থেকে সরে আসে নাইকি। বিষয়টি স্বীকার করেন নাইকির জেনারেল কাউন্সেল হিলারি ক্রেন।
হিলারি ক্রেন বলেন, বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরু হওয়া তদন্ত কার্যক্রমে সাহায্য করতে নেইমার অস্বীকৃতি জানানোয় নাইকি তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে।
তবে নাইকির করা এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমারের মুখপাত্র। এই ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হলে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। তবে নেইমারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এবারই সেবারই শেষবার নয়। ২০১৯ সালে নেইমারের বিরুদ্ধে উঠেছিল ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না থাকায় সে বছরের আগস্টে অভিযোগটি খারিজ করে দেন আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :