শাহীন খন্দকার: [২] শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনেরা। বাংলাদেশে গত দশ বছরে নিখোঁজ হওয়া মানুষের মধ্যে ১৭০ জনের এখানো কোন হদিস পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার বলছে, এরা সবাই গুম হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এসব নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বার বার করেছেন। কিন্তু তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
[৩] শুক্রবার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে বাংলাদেশে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলো তাদের সংগ্রামের কথা জানিয়েছেন। মানববন্ধনে যাঁরা অংশ নেন, তাঁদের কারও হাতে বা গলায় ঝোলানো ছিল গুম হওয়া স্বজনের ছবি। মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল ‘গুম বন্ধ কর, গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দাও’।
[৪] মানববন্ধনে অংশ নেন বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর ছেলে আবরার ইলিয়াস। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল তার বাবাকে তুলে নেওয়া হয়। সে সময় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেট থেকে বিএনপির চার নেতা একইভাবে নিখোঁজ হন। ওই সময় সিলেটে টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। দেশের স্বার্থে তার বাবা ওই আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন। এ অবস্থানের কারণেই তার বাবাকে গুম করা হয়েছে। আরও বলেন, আমরা এখনো বাবার অপেক্ষার আছি। কারণ, আমরা দেখছি, বহু বছর পর অনেকে গুম নামের কারাগার থেকে ফিরে এসেছেন।
[৫] আলোকচিত্রী শহিদুল হক অভিযোগ করে বলেন, এখানে সম্প্রতি যারা গুম হয়েছেন, তারা সরকারের দ্বারাই হয়েছেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক গুম হওয়া ব্যক্তিদের অবিলম্বে সন্ধান দেওয়ার দাবি জানান। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান