ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] বৃহস্পতিবার পাকিস্তান এধরনের তদন্তের দাবি জানালে ওআইসি ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে জাতিসংঘের বিশেষ অধিবেশনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভোটাভুটির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গাজায় সকল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও মানবাধিকারের সব ধরনের লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করা হবে। আল জাজিরা
[৩] ওআইসি ও ফিলিস্তিনের প্রস্তাবনায় ইসরায়েল, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে স্থায়ী তদন্ত কমিশন (সিওআই) গঠনের কথা বলা হয়েছে। সদস্য দেশগুলোর রায় নিয়ে এটাই হবে প্রথম কোনো স্থায়ী তদন্ত কমিশন গঠনের ঘটনা।
[৪] জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ নির্লজ্জভাবে ইসরায়েল বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তই তার বড় প্রমাণ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ব্যঙ্গ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ধরণের সিদ্ধান্তের ফলে সন্ত্রাসীরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে।
[৫] হামাস জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আর ইসরায়েলের শাস্তি নিশ্চিত করতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৬] জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, যদিও ইসরায়েলের দাবি করছে যে- তাদের হামলায় ধ্বংস হওয়া বেশিরভাগ ভবনেই সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা অবস্থান করছিল এবং সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু আমরা এসব তথ্যের কোনো প্রমাণ পাইনি। তাই ইসরায়েলের এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।
[৭] ভোটাভুটিতে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট এই সংস্থাটির ২৪টি সদস্য দেশ তদন্তের পক্ষে রায় দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, জার্মানি, মালাবি, যুক্তরাজ্য, উরুগুয়েসহ ৯টি দেশ এবং বাকি ১৪টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
[৮] ভোটাভুটির পর জেনেভায় মার্কিন মিশন এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রস্তাবের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুঃখিত। এই পদক্ষেপ শান্তি ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে না। সম্পাদনা : রাশিদ