আফরোজা সরকার: [২] রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মসিমপুর বুজরুগ সন্তোষপুর গ্রামের ১০ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্র কে ধর্ষণ করে জাবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে রাজা মিয়া নামে এক যুবক। হত্যা করার পর নিহত শিশুর লাশ ঘরের ভেতরে খাটের নীচে গর্ত করে পুতে রাখা হয়।
[৩] এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত রাজার বাড়ি ঘেরাও করে ঘরে পুঁতে রাখা অবস্থায় নিহত শিশুদের মরদেহ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
[৪] পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার দুপুর থেকে বজরুক সন্তোষপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ১০ বছরের শিশু কন্যার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে দিনভর খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে রাতে এলাকায় মাইকিং করে। তবে রাতে পার্শ্ববর্তী শাহিন মিয়ার ছেলে রাজা মিয়া (২০) এর গতিবিধি ও চাল চলনে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। বিষয়টি টের পেলে অভিযুক্ত রাজা মিয়া পালিয়ে যায়। এরপর রাতভর এলাকাবাসী ও স্বজনরা রাজা মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে মিঠাপুকুর থানায় খবর দেয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ বাড়িতে প্রবেশ করে অভিযুক্ত রাজা মিয়ার নানী হালিমা খাতুনের ঘরের ভেতর থেকে গর্ত করে পুতে রাখা অবস্থায় নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর গলা কাটা ছিলো। তাকে ধর্ষণ করার পর জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারনা করছে।
[৫] এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজা মিয়ার নানী হালিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৬] মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর জবাই করে হত্যা করেছে খুনি রাজা মিয়া। এরপর তার লাশ ঘরের ভেতরেই মাটি খুড়ে পুতে রাখে। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
[৭] ঘটনা তদন্তে পিবিআই ও সিআইডি পুলিশের দুটি দল ঘটনা স্থলে অবস্থান করছে। তবে অভিযুক্ত রাজা মিয়া গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসী ও স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
[৮] ময়না তদন্তের জন্য শিশুর লাশটি রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি