সুমাইয়া ঐশী: [২] বুধবার দেখা যেতে পারে এই গাঢ় লালচে কমলা রঙের চাঁদ। এই ঘটনার সময় চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যকার দূরত্ব হবে ৩ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার। এই ঘটনা পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণেরই ফলাফল। এক দশকে একবার এমন বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হয় বিশ্ব। এসময় চাঁদ পৃথিবীর অত্যন্ত কাছে চলে আসে। একারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এদিন চাঁদের উজ্জলতা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং অন্যদিনের চেয়ে এর আকৃতি ১৪ শতাংশ বড় দেখা যায়। আল জাজিরা
[৩] চন্দ্রগ্রহণের সময় মূলত চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি বলে আসায় পৃথিবীর ছায়া এর ওপর পড়ে। এতেই ক্ষণিকের জন্য নেমে আসে অন্ধকার। আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী রাত ৮টা ৪৭ এ শুরু হবে চন্দ্রগ্রহণের প্রক্রিয়া। রাত ১১টা ১১ থেকে ১১টা ২৬ এর মধ্যে চাঁদকে সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করবে পৃথিবীর ছায়া। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
[৪] এসময় চাঁদের রং লাল হওয়ার কার, সূর্যরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। তবে বায়ুমণ্ডলে কতটা ধুলো বা মেঘ আছে তার ওপর নির্ভর করে চাঁদের রং কতটা গাঢ় লাল হবে। সূর্যগ্রহণের তুলনায় খালি চোখে তুলনামূলক বেশি নিরাপদে চন্দ্রগ্রহণ দেখা সম্ভব। ইন্ডিপেন্ডেন্ট
[৫] মে মাসে বসন্তের ফুল ফোটে। তাই এ সময় চন্দ্রগ্রহণ ঘটলে তাকে ফ্লাওয়ার মুন বলা হয়। এই দৃশ্য সবচেয়ে পরিষ্কার দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায়। এছাড়া নিউ গিনিতেও ভালোভাবে দেখা যেতে পারে এই বিশেষ চন্দ্রগ্রহণ। পরবর্তী চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২০৩৩ সালে। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল