জেরিন আহমেদ : [২] বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বরেন্দ্র অঞ্চলের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তিনি। উদ্ভিদটি রাজশাহী অঞ্চলে ‘দুধসর’ নামে পরিচিত।
[৩] কৃষিবিজ্ঞানী ড. এনায়েত আলী জানান, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ওই উদ্ভিদের ব্যবহারে তার গবেষণা শতভাগ সফল হয়েছে। উদ্ভিদটি আবার কোথাও কোথাও মনসাসিজ নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘Euphorbia nerifolia' যেটি ‘Euphorbiaceae’ পর্বের উদ্ভিদ।
[৪] তিনি আরও জানান, এই পাতার রস অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিস রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বহুবছর ধরেই মানুষ ব্যবহার করছে। বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলের আদিবাসীরা সর্দি-কাশি ও জ্বরে এর ব্যবহার বেশি করেন। ঔষুধী গুণসমৃদ্ধ এই গাছের পাতা কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের নিউমোনিয়া সারাতে অধিক কার্যকরী। শুধু তাই নয়, যেকোনো ধরনের ছত্রাকনাশক হিসেবেও কাজ করে।
[৫] বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি দুধসর গাছের পাতার রস খেয়ে অনেকেই করোনা মুক্ত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, দুধসর গাছের পাতার রস খাওয়ার পর খুব দ্রুত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এছাড়া অক্সিজেন লেভেলও বৃদ্ধি পায়।
[৬] করোনার মুক্তির আশায় পেশাজীবী ছাড়াও এখানে আসছেন অনেকেই।
[৭] করোনার প্রতিষেধক হিসেবে অনেকেই নিয়মিত এই গাছের পাতার রস খাচ্ছেন। রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ (সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) এনায়েত কবীর সরকার জানান, তার সহকর্মীদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তবে, তারা দুধসর গাছের পাতার রস খাওয়ার পর থেকে শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হয়।
[৮] এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, এ নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আরো গবেষণার পর মানুষের উপর প্রয়োগ করা উচিত। সূত্র: ডিবিসি, সমকাল অনলাইন