ইমরুল শাহেদ : চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী ও পারভেজ মাহমুদ অপুর বিয়েটা ৫ বছরও টিকলো না। তাদের বিয়ে হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ মে। মাহীর দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুসারে তাদের সংসার জীবন ছিল মাত্র তিন বছরের। কারণ মাহীর কথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু জানান দেওয়া হলো পাঁচ বছর পর। মাহী বিয়ে বিচ্ছেদের কথা বললেও তার স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপু বলেছেন, এখনো তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়নি। বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া এখনো শুরুই হয়নি। তবে আলাদা থাকার কথা স্বীকার করেছেন অপু। তারা বিয়ে করেছিলেন একে অপরকে পছন্দ করে। এতো তাড়াতাড়ি বিচ্ছেদের বিষয়টা এলো কেন? তারা কেউ তাদের পারস্পরিক কোনো দোষের কথা বলেননি। মাহিয়া মাহী বলছেন, অপুর পরিবার তাকে সম্মানের স্থান দিয়েছে। অপু বলছে, মাহীর যেকোনো সংকটে তিনি মাহীর পাশে থাকবেন। তাহলে তাদের দূরত্বটা তৈরি হলো কেন।
উল্লেখ করার বিষয় হলো, তিন বছরের সংসার জীবনে কোনো সন্তান হয়নি তাদের। মাহী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। ব্যাপারটা দুই পরিবার ছাড়া কেউ জানত না। অপু সম্পর্কটা ধরে রাখতে চাইত। সে চেয়েছিল ঘটনাটি প্রকাশিত না হোক। সে ভেবেছিল, হয়তো একসময় সব ঠিক হয়ে যাবে।’ কিন্তু মাহী দুই বছর আগে তার বিচ্ছেদ দাবি করলেও এই দুই বছর সাবেক স্বামীর সঙ্গে একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করেছেন এবং একাধিক অনুষ্ঠানেও এ যুগলকে একসঙ্গে হাজির হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ তারা একসঙ্গে থেকেছেন বলেও স্বীকার করেছেন মাহী, যা আইনত অবৈধ। এদিকে মাহীর বিয়ে বিচ্ছেদের খবর চাউর হওয়ার পর আরেকটি গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। অবশ্য এই গুঞ্জনটি অনেক দিন আগেই চিত্রকর্মীদের মধ্যে কানাঘুষা আকারে ছিল। একজন চিত্রকর্মীর সঙ্গে তার একটা মানসিক সমঝোতা তৈরি হয়েছে। সেটাই মাহী-অপুর বিচ্ছেদের কারণ কিনা দেখার বিষয়।