সুজিৎ নন্দী: [২] রাজধানীর রাস্তায় সব ধরনের গাড়িই চলছে। এমনকি জায়গা না পেয়ে গাড়িতে ঝুলে যেতে দেখা গেছে। যানজটে যানবাহনগুলো স্থির দাঁড়িয়ে ছিল দীর্ঘ সময়। ফার্মগেট থেকে যানজট গিয়ে ঠেকেছে খামারবাড়ি মোড় পর্যন্ত।
[৩] দুপুরে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে সময় লেগেছে প্রায় একঘণ্টার বেশি সময়। এই রোডে ছিলো সবচেয়ে বেশি যানজট। মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, পল্টন মোড়, মহাখালী, কাকলী, বনানী ঘুরে সোমবার এ রকম চিত্র দেখা গেছে।
[৪] এদিকে সদরঘাটে যাত্রী ছিলো খুবই কম। তবে লঞ্চ ছিলো বেশি। বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, হুলারহাটসহ আশপাশের জেলা থেকে ২/১টি করে লঞ্চ সদরঘাটে এসেছে। কিন্তু একাধিক টিকেট কাউন্টার যাত্রীর উপস্থিতি কম দেখে টিকেট বিক্রি করছে না।
[৫] বিআইডব্লিউটিএর সূত্র জানায়, লঞ্চে যাতে কেউ অর্ধেকের বেশি যাত্রী নিতে না পারে, সেটা তদারকি করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
[৬] সরেজমিনে গাবতলী, কল্যানপুর, আসাদগেট, পান্থপথ, সায়েদাবাদ, মহাখালীর দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলো খুলেছে। টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। নৈশ কোচ ছাড়বে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাউন্টার ধোয়ামোছার কাজ চলেছে। তবে টিকেট বিক্রি অর্ধেক হবার কারণে প্রায় বাসেরই টিকেট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তবে মালিক সমিতি চাঁদা নেবে না বলে একাধিক বাস মালিক জানান।
[৭] সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার গাড়ি চলতে শুরু করেছে। কোন কাউন্টারে টিকেটে ৬০ ভাগের বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। দীর্ঘদিন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাস শ্রমিক ও মালিকরা।
[৮] দেড় মাস বন্ধ থাকার পর ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ। তবে লঞ্চ ছাড়লেও প্রাণ ফেরেনি ঘাটে। আগের মতো ব্যস্ততা ছিল না লঞ্চ ছাড়ার, বিকট শব্দের সাইরেন আর দেখা যায়নি ঘাটে কুলিদের হাঁকডাক, যাত্রীদের ভিড়।