বাশার নূরু: [২] সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এশিয়ার আঞ্চলিক কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের গোলটেবিল সভায় (ভার্চুয়াল) এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে ওয়েলস চার্লসের প্রিন্স ফিলিপ আর্থার জর্জ এ সভা আহ্বান করেন।
[৩] সভায় শেখ হাসিনা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের জন্য কমনওয়েলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
[৪] কমনওয়েলথ সদস্য দেশ এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। কার্যকর এবং দক্ষ উপায়ে আরও বেশি স্থিতিশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন গড়তে বিশ্বজুড়ে সবুজ ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সার্কুলার অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরামর্শ দেন তিনি।
[৫]ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিধানসহ কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। অভিযোজনে সহায়তা করতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু অর্থায়ন করতে বলেন তিনি।
[৬] গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদানের দিকে সবাইকে মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদান দারিদ্র্য বিমোচন এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জলবায়ু ক্ষতি হ্রাসের সর্বোত্তম কৌশল।
[৭] তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে অ্যাডাপটেশন লিডার হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন ব্যবস্থার জন্য নিজস্ব সম্পদ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে।