ডেস্ক রিপোর্ট : কিয়েরন পোলার্ড কিংবা আন্দ্রে রাসেলের নাম শুনলেই যেনো ভেসে ওঠে হাওয়ায় ভাসছে বল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বদৌলতে এটা কারও অজানা নয়। ৯৬.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে প্রশ্ন এলো, কম বাউন্ডারি নিয়েও কীভাবে এত ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করলেন? মুশফিক জানালেন, নিজের সামর্থ্য ব্যবহার করেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
[video width="480" height="360" mp4="https://www.amadershomoy.com/bn/wp-content/uploads/2021/05/Mosfiq.mp4" poster="https://www.amadershomoy.com/bn/wp-content/uploads/2021/05/90-8.jpg"][/video]
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিকুর রহিম তাদের সঙ্গে নিজের তুলনা করে মন্তব্য করেন ‘আমি পোলার্ডা-রাসেল নই।’
কিন্তু কেন এই মন্তব্য? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তার ইনিংসটির দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। মুশফিক এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন ৮৭ বলে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র ৪টি চার ও ১টি ছয়ে। অর্থ্যাৎ ২২ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে। আর বাকি রান সিঙ্গেলস-ডাবলসে।
তার মধ্যে প্রথম ৫০ রানে ২ চার ও ১ ছয়। এরপরের ৩৪ রানে ২টি চার। ম্যাচ শেষে এই নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় তার দিকে।
মুশফিক বলেন, ‘আই অ্যাম নট আ বিগ গাই। সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না আমি। আমি পোলার্ড বা রাসেল নই। আমি নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করি। কন্ডিশনও আমাকে সুযোগ দেয়নি খুব বেশি বাউন্ডারি মারার। আমি তাই সময় নিয়েছি, আস্তে আস্তে রান বাড়িয়েছি। একটা প্রান্ত নিরাপদ রাখতেও হতো আমাকে। সেটা আমি করেছি।’
তিন ফিফটিতে বাংলাদেশ করে ২৫৭ রান। শ্রীলঙ্কা টার্গেটে খেলেতে নেমে আউট হয় ২২৪ রানে। বাংলাদেশ জেতে ৩৩ রানে। তামিম ফিফটি করার পর ২ ও মাহমুদউল্লাহ ৪ রান যোগ করে আউট হন। একমাত্র মুশফিক ইনিংস লম্বা করতে পেরেছেন। তবে ১৬ রানে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। দলের পুঁজি গড়ায় তার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
আপনার মতামত লিখুন :