শিমুল মাহমুদ: [২] ফিলিস্তিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংহতি জানিয়ে চিঠি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনি যদি ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হতে চান তবে সবচেয়ে কঠিন যে কাজটি করতে হবে তা হলো কূটনৈতিক তৎপরতা। কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হলে আমাদের ছোটখাটো সব ভুল-ভ্রান্তি ভুলে যেতে হবে। পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর যে অন্যায় করেছিলো তার জন্য তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে তাদেরসহ তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সবাইকে নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। আর আমাদের এখান থেকে ১০ হাজার সামরিক জনবল ফিলিস্তিনে পাঠাতে হবে।'
[৩] তিনি আরো বলেন, আমাদের একইভাবে কাশ্মীরিদের পক্ষে আন্দোলন করতে হবে। সমর্থন দিতে হবে ভারতের মাওবাদীদের। তা না হলে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হবে। বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে বলা আছে পৃথিবীর যেখানেই আত্মরক্ষার সংগ্রাম চলবে সেখানেই আমরা তাদের পাশে থেকে সাহায্য করবো।
[৪] নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি প্যালেস্টাইনের জনগণের লড়াইয়ের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। অনেকেই আছেন ধর্মীয় কথা বলেও সামাজ্যবাদের পা চাটে। এর মধ্যে অনেকেই আছেন সাহস করে করে কথা বলেন না বা বলতে চান না। আমাদের আরো সাহসী হতে হবে। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
[৫] সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ফিলিস্তিনে মানুষ যারা প্রতিদিন ইসরাইলের হাতে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার তাদের পক্ষে সংহতি জানানোর জন্যই আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। আমরা বাংলাদেশের মানুষ প্যালেস্টাইনের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আছি। আমরা এই সভার আয়োজন করেছি নির্দলীয় ভিত্তিতে, জাতীয় আবেদনে।
[৬] সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেকে একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই গাজায় এই নির্লজ্জ হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। ইসরায়েল কোনো রাষ্ট্র নয়, একটা যুদ্ধ মেশিন। একে যুদ্ধের মাধ্যমেই শেষ করতে হবে।
[৭] শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে আয়োজিত এক সংহতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।