সমীরণ রায়: [২] শুক্রবার বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এক বিবৃতিতে বলেন, গত দেড় মাসেরও অধিককাল ধরে লকডাউনের নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার ফলে বেতন-বোনাস না পেয়ে চরম অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে নৌযান শ্রমিকরাসহ নদী বন্দর সমুহে দিন মজুর হিসাবে কাজ করা লক্ষ লক্ষ শ্রমিক।
[৩] তারা বলেন, সারাদেশে কোথাও লকডাউন কার্যকর নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না কোথাও। গণপরিবহন বন্ধের নামে যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগে ফেলে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয়ে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রয়েছে। ঈদের আগে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে অর্ধ কোটিরও বেশি মানুষ চরম দুর্ভোগ ও কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করে পরিবার-পরিজনের কাছে পৌছাতে কোন অসুবিধা ও বাধার সম্মুখিন হয়নি।
[৪] তারা আরও বলেন, ফেরিঘাট গুলোতে যাত্রীদের প্রচন্ড ভিরে পদপিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যুর মত মর্মান্তিক ঘটনার পরেও কি কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা আশা করেছিলাম সরকার ঘরে ফেরা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করার পর যাত্রীবাহী লঞ্চ ও দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেবেন।
[৫] তারা বলেন, সরকার শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে যুক্তিক দাবি মেনে নিয়ে ২২ মে’র মধ্যে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচলের ঘোষণা না দিলে ২৩ মে সকাল ১১ টা থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।