মো.ইউসুফ মিয়া : [২] রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২০-২১ অর্থ বছরে সমলয় চাষাবাদের প্রনোদনা কার্যক্রমের আওতায় কম্বাইন হার্ভেষ্টার জন্ত্রের মাধ্যমে বোরোধান কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
[৩] মে শুক্রবার ১১টায় আলীপুর ইউনয়নের পশ্চিম সিঙ্গা আলীপুর গ্রামের মিস্ত্রীজোলা জামে মসজিদের সংলগ্ন মাঠ প্রাঙ্গনে আলোচনা সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা ফাওমি মোঃ সায়েফের সভাপতিত্বে অন্যানের বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ এসএম সহিদ নুর আকবর,উপজেলা পরিষদ ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ রাকিবুল হাসান পিয়াল,আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হাসান,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বাহাউদ্দিন শেখ,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন,আলীপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনছুরুল আলম,কল্যাপুর ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ সজলসহ প্রমূখ।
[৪] আলোচনা শেষে সঠিক সময়ে সু পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের লাভবান করানোর জন্য উপজেলা কৃষি আফিস থেকে আলীপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর ব্লকের দায়িত্বরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনছুরুল আলমকে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস প্রদান করেছে।
[৫] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বাহাউদ্দিন শেখ বলেন,রাজবাড়ী সদর উপজেলার ২০-২১অর্থ বছরে সমলয় প্রণোদনা কার্যক্রের আওতায় বোরোধান রোপন করে সময় মতো পরিচর্যা করে অধিক ফলন উৎপাদন করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কৃষকরা তুলনায় এ বছর এই বোরোধান স্বল্প খরচে রাইচপ্লান্টার মেসিনের সাহায্যে ধান রোপন করে প্রতি বিঘা জমিতে ৫/৬ মন ধান এবার বেশী জমিতে উৎপাদন হয়েছে।
[৬] কৃষকদের প্রতি বিঘা ধান কাটতে কৃষকদের খরচ হতো ৩/৪ হাজার টাকা,বর্তমানে কম্বইন হার্ভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে মাত্র ১৩ থেকে ১৪শত টাকা,সবকিছু মিলিয়ে কৃষকের যেনম সব ধরণের ব্যায় কমেছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে । এতে কৃষকের মুখে হাসির ছোয়া ফিরে এসেছে।
[৭] আলীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সিংগা আলীপুর কৃষক জাফরউল্ল্যাহ বলেন, আমাদের জমিতে এবার ফসল ভালোই হয়েছে। কিন্ত এই বোরোধানগুলো মোটা হওয়ার কারণে বাজার মূল্য পাওয়া যাচ্ছে।সরকার একজন কৃষকের কাছ থেকে যে ন্যার্য্য মূল্যে ধান কম নিচ্ছে। প্রতি কৃষকের কাছ থেকে ৩টন করে নিচ্ছে কিন্ত বেশী করে নিলে আমাদের মতো কৃষকরা উপকার হতো।