শাহীন খন্দকার: [২] এপর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৮৬,৬৯৮ জন, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ্য হয়েছেন ১,৫২৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ্য হয়েছেন সাতলাখ ২৯ হাজার ৩৯ জন। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারাগেছে মোট ১২ হাজার ৩১০ জন।
[৩] এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন তিনজন, চট্টগ্রামে ছয়জন, রাজশাহীতে চারজন, খুলনায় ১০ জন। এছাড়া সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন।
[৪] মৃতদের বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৪ জনই ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
[৫] এছাড়া সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৯টি, জিন এক্সপার্ট ৩৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩১৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৩৯৯টি, পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ২৯৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৭৭টি।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার আট দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৬ শতাংশ।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৩৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৬২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন মোট এক লাখ ৩০ হাজার ১৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৫০১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৬৫৯ জন।
[৮] এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান