সমীরণ রায়: [২] বুধবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রথম আলো পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা আটক রাখার পর তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি নথি চুরির অপবাদে মামলা দেওয়া হয়েছে। যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
[৩] এতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে যে যে কাজের উপযুক্ত তাঁকে দিয়ে সে কাজ করাতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে একটি বিশেষ ক্যাডার সব কুক্ষিগত করে রেখেছে। যার ফলে এধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়মিত ঘটেছে এবং প্রধানমন্ত্রী দেশকে সবদিক দিয়ে সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যেতে যেভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কারণে তা প্রায়ই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।
[৪] এতে আরও বলা হয়, করোনাকালীন এই সময়ে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক এবং গণমাধ্যম কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদেরকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বর্তমান কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে দেশ পূর্বের তুলনায় আরও বেশী আমলা নির্ভর হয়ে যাচ্ছে এবং এদের দৌরাত্ম আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব জায়গাতেই তারা হস্তক্ষেপ করছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে দেশপ্রেমিক সৎ নিবেদিত প্রাণ অন্য পেশার লোকেরা এদের দ্বারা নিগৃহিত হতেই থাকবে।
[৫] ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র নির্বাহী কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পক্ষে আইইবি'র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা কর্তৃক প্রথম আলো পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে হেনাস্তা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। একই সঙ্গে অবিলম্বে তাঁকে যেন মুক্তি দেওয়া হয় এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন।