অহিদ মুকুল:[২] নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৫ কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি আমির চৌকিদারকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে চরকিং ইউনিয়নের শুল্লুকিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে একই ঘটনায় আরো ৫ গ্রাম্য মাতবরকে আটক করে পুলিশ।
[৩] এই ঘটনায় রোববার রাতে নির্যাতনের শিকার শিশু পদ দাস নামে এক কিশোরের বাবা হরিপদ দাস বাদী হয়ে চৌকিদার আমির হোসেন ও ৫ সালিসদারকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করে।
[৪] এর আগে রোববার সকালে জাল চুরির অপরাধে স্থানীয় জেলে মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চুরির সঙ্গে জড়িত ৫ জেলে কিশোরকে ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ বেতাঘাত করার সিদ্বান্ত হয়।
[৫] সালিসে ১০ বেত করে দেয়ার সিদ্বান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় চৌকিদার আমির হোসেন কোমরে বাঁধা কিশোরদের এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এসময় কিশোরদের পক্ষে পরিবারের লোকজন বার বার ক্ষমা চাইলে চৌকিদার আরো উত্তেজিত হয়ে যান।
[৬] ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায় কিশোর জেলেদের প্রকাশ্যে বেঁধে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করছেন একজন। পাশ থেকে তাদের পরিবার তাদের ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। কান্নারত নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে দেখা গেছে।
[৭] হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, এই ঘটনায় এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দিয়েছে। মামলায় সালিসে উপস্থিত থাকা ৫ গ্রাম্য মাতবর ও চৌকিদার আমিরকে আসামি করা হয়। অভিযান দিয়ে আমরা সকল আসামীকে গ্রেফতার করেছি। আজ মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন