রাশিদুল ইসলাম : [২] ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইরানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক নীতি-নির্ধারণ ও সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান ডক্টর আবুজর ইব্রাহিমী এক বিবৃতিতে বলেছেন শান্তি ও প্রশান্তির আলোয় বেঁচে থাকার সুযোগ ইসরায়েলিরা আজ হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। দখলদার ইসরায়েলিদের হাতে আবারও নিরীহ শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিকের রক্ত ঝরছে এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, বিশ^ তা দেখে নিশ্চুপ রয়েছে। প্রেসটিভি
[৩] তিনি বলেন এই নিষ্ঠুর কাজটি গণতন্ত্রের দাবিদারদের চোখের সামনে পরিচালিত হচ্ছে এবং মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা এসব দেখেও নিশ্চুপ রয়েছে। গাজায় ইসরায়েলিদের এই অমানবিক অপরাধ বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের হৃদয়কে আহত করেছে। আশা করা হচ্ছে যে, বিশ্বের শীর্ষ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এই লজ্জাজনক কাজের বিরুদ্ধে নীরব না থেকে নিপীড়িতদের রক্ষা এবং এই অপরাধের জ্বলন্ত আগুন নিভিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বাধিক মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষা অনুসরণ করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
[৪] তিনি বলেন, নির্মম নিপীড়নের মোকাবেলায় যেমন কোনো মুক্তিকামী মানুষ নীরব থাকতে পারে না তেমনি ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকেও অনুরূপ প্রত্যাশা কামনা করা হচ্ছে। কারণ, ‘স্বাধীনতা’ হল তাদের সামাজিক অবস্থান ও স্থিতিশীলতার অন্যতম আবশ্যক বৈশিষ্ট্য।
[৫] ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনেয়ীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন এবং সেখানকার ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলিম বাসিন্দাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নতুবা নয়।
[৬] তিনি সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের কাছে ফিলিস্তিনে এই বর্বর অপরাধ সংঘটিত করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি ধিক্কার এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।