মাসুদ আলম: [২] স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারকের খাস কামরায় বাবুল আক্তার ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে কোনো জবাববন্দি দেননি। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[৩] বাবুল আক্তারের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, পিবিআই রিমান্ডের কোনো আবেদন না করায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
[৪] মিতু হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ মে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা জানায়, প্রথম তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে একরকম নিরুত্তরই ছিলেন বাবুল আক্তার। পরে কিছু কথা বলেছেন। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচলিত বোধ করছেন তিনি। কথা বলার সময় দু-একবার কেঁদেছেনও।
[৫] অবশ্য মাহমুদা হত্যার কারণ-সম্পর্কিত সব প্রশ্নই এড়িয়ে গেছেন বাবুল আক্তার। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তিনি শুধু এটুকু বলছেন, ‘সবই তো জানেন, আমি কী বলব।’ মিতুকে যেদিন খুন হন এর মাসখানেক আগেও তাকে একবার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তার স্বামী বাবুল আক্তার তখন প্রশিক্ষণ নিতে চীনে ছিলেন। তবে খুনের ওই পরিকল্পনা তখন ‘সফল’ হয়নি।
[৬] পাঁচ বছর আগে স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যার অভিযোগে শ্বশুরের করা মামলায় ১২ মে গ্রেপ্তার দেখানো হয় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে। এর দুই দিন আগে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায় পিবিআই।
[৭] ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামে খুন হন মাহমুদা খানম। সেদিন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে উঠিয়ে দিতে বাসা থেকে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ের কাছে তাঁকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।