আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] উড়িয়ে দেওয়া হলো আল-জাজিরা ও এপি সহ একাধিক গণমাধ্যমের কার্যালয় জালা টাওয়ার । ইসরায়েলি বিমান হামলায় বহুতল জালা ভবনটি ধসে পড়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে বেশকিছু অফিস ও আবাসিক ফ্ল্যাট ছিল। আক্রমণের আগে ওই ভবনের মালিকের কাছে আগাম সতর্কবাণী দেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। রয়টার্স
[৩] ভবন খালি করার জন্য মাত্র এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। অতিরিক্ত ১০ মিনিট চেয়ে একজন ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বার বার অনুরোধ করেন মালিক জাওয়াদ মেহেদি। কিন্তু কর্মকর্তাটি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর পর ভবনটি থেকে সব লোকজনকে বের করে নেয়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেউ হতাহত হবার খবর পাওয়া যায়নি।
[৪] ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক টুইট বার্তায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে ওই ভবনটিতে হামাসের সামরিক সম্পদ ছিলো। এছাড়াও ওই ভবনের বাসিন্দাদের মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিলো।
[৫] গাজায় শনিবার রাতে এক ঘণ্টা ধরে দেড় শতাধিক রকেট বৃষ্টির মতো ছোড়া হয়েছে। জরুরি সহায়তা দল ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা উপত্যকার আল-ওহেদা শহরকে কেন্দ্র করে ৭০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। এতে আবাসিক ভবন, অবকাঠামো ও সড়ক পুরোপুরি বা কোথাও কোথাও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[৬] ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামলা চলবেই। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, যত দিন প্রয়োজন, তত দিন হামলা চলবে। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে সবকিছু করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। নেতানিয়াহুর দাবি, চলমান সংঘর্ষের জন্য ইসরায়েলি বাহিনী দায়ী নয়। ‘হামলাকারীরাই’ এ জন্য দায়ী।