রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের পশ্চিমবাংলা রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি দেখে হৃদয় কাঁপছে, রাজ্যপাল জগদীফ ধনকড়ের। ‘আক্রান্ত’দের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তা জানান দিলেন রাজ্যপাল। ১৪ বছর আগে২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে নন্দীগ্রাম পুনর্দখল করতে অভিযান চালিয়েছিল তৎকালীন শাসকদল সিপিএম। হলদি নদীর পাড়ে সেবার রক্তগঙ্গা বয়েছিল। তখন রাজ্যপাল ছিলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। পরের দিন মন্তব্য করেছিলেন, ‘হাড় হিম করা সন্ত্রাস চালিয়েছে শাসকদল’। দি ওয়াল
[৩] ২০২১-এর মে মে মাসের ১৫ তারিখ নন্দীগ্রামের গাঁ গাঁ ঘুরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বললেন, “এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি ভাবা যায় না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আপনি করোনার সঙ্গে লড়ুন কিন্তু সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে আমার হৃদয় কাঁপছে।”
[৪] রাজ্যপাল আরও বলেন, “বাড়ি বাড়ি আক্রান্ত হচ্ছেন নিরীহ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত বিষয়টি দেখা। যেখানে যাচ্ছি, লোকজন নেই। সবাই ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ভয়ে। শুধু তাঁরাই ঘরে আছেন যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন।” ধনকড়ের বক্তব্য, ভোটের পর এমন হিংসা ভূভারতে কোথাও দেখা যায় না। এত নৃশংসতা কল্পনাও করা যায় না।
[৫] রাজ্যপাল এদিন নন্দীগ্রামের বিভিন্ন গ্রাম ঘোরেন। বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামের নারীরা রাজ্যপালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কারও স্বামী ঘরে নেই। কারও বাড়ি চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। কুচবিহার সফরে রাজ্যপালের সঙ্গে সারাক্ষণ ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, একজন কুখ্যাত সাংসদকে নিয়ে উনি ঘুরেছেন। রাজ্যপালকে এখনই বরখাস্ত করা উচিত।
[৬] নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপাল স্বচক্ষে নন্দীগ্রাম দেখে আসুন। তার সঙ্গে বিজেপির কেউ থাকবে না। এদিন রাজ্যপালের হেলিকপ্টার নামে নন্দীগ্রামের হরিপুর হেলিপ্যাডে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান শুভেন্দু। তারপর একাই নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে নন্দীগ্রাম ঘুরেছেন রাজ্যপাল।