ডেস্ক নিউজ: দেশের মোট ভুট্টার ৬০ ভাগই উৎপাদন হয় উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে। প্রতিবছর রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে ২৮ থেকে ৩০ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টার উৎপাদন হয়।
উত্তরের জেলাগুলোতে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ ভুট্টা সরকারিভাবে ক্রয়, দর নির্ধারণ ও বিপণন ব্যবস্থাপনা নিয়েও নেই তেমন কোনো পরিকল্পনা। ফলে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা মুনাফা বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক।
চরাঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় মাঠে ৫শ' থেকে ৬শ' টাকা মণ দরে ভুট্টা বিক্রি করতে হচ্ছে। যা মাত্র দুই হাত ঘুরে প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানে ৮শ' থেকে ৯শ' টাকা দরে বিক্রি হয়। ফলে প্রতি টনে পাঁচ থেকে ৭ হাজার টাকা মুনাফা বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। যা মোট উৎপাদিত ভুট্টায় মুনাফা লোকসান ১৮শ' থেকে দুই হাজার কোটি টাকা।
এ অবস্থায় কৃষিবিদদের দাবি, সম্ভাবনার ভুট্টা নিয়ে পরিকল্পনা করা গেলে পাল্টে যাবে এ জনপদ।
কৃষিবিদ শাহ আলম জানান, সরকারের উচিত এ অঞ্চলে উৎপাদিত ভুট্টা নিয়ে মহাপরিকল্পনা করা যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারে।
কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান মাঠ প্রশাসনের কর্তারা। লালমনিরহাটের জেলা জেলা বিপণন কর্মকতা আব্দুর রহিম বলেন, 'আমরা যদি ভুট্টার একটা বাজারদর নির্ধারণ করতে পারি। আর কৃষকরা যেন নির্ধারিত বাজারদরে তাদের ভুট্টা বিক্রি করতে পারে সেজন্য আমরা সচেষ্ট আছি।'
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক শামিম আশরাফ জানান, ভুট্টা প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা গড়ে তুলতে পারলে কৃষরা লাভবান হতে পারবে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে ভুট্টাকেন্দ্রিক কৃষি কারখানা স্থাপন বা বিনিয়োগ বাড়লে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।'
উত্তরের পিছিয়ে থাকা জেলা গুলোকে এগিয়ে নিতে, ভুট্টাকেন্দ্রিক যুগোপযোগী পরিকল্পনা করা গেলে গড়ে উঠতে পারে টেকসই শিল্প প্রতিষ্ঠান। আর এতে ঘুরে দাঁড়াবে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি। সূত্র: ডিবিসি টিভি