✖

আবু হাসাদ: [২] ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হাজারো পর্যটকের আগমণ ঘটেছে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজপরগণায়। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রনে সরকার জনসমাগম নিয়ন্ত্রনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তোয়াক্কা করছেন না কেউ। পরগণায় আগত বেশীর ভাগ পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানছে না। এদিকে অপযাপ্ত জনসমাগমে চরম আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তারা বলছেন পুলিশ-প্রশাসনের তদারকির না থাকায় এতো লোকের সমাগম ঘটেছে।

[৩] শুক্রবার (১৪ মে) ঈদের দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজপরগণা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি নাটোর ও পাবনা জেলা থেকে অনেক পর্যটক ঘুরতে এসেছেন পুঠিয়া রাজবাড়িতে। দুপুর থেকেই প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, নসিমন, করিমন বোঝাই করে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু কিশোর দর্শনাথীরা আসতে শুরু করেছেন। বিকেল গড়তেই বাড়তে শুরু করেছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। উপচেপড়া দর্শনাথীতে এক পর্যায়ে রাজপরগণা পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

[৪] নাটোর জেলার লালপুর সদর এলাকার মনিরুজ্জামান বলেন, উত্তর অঞ্চলের মধ্যে পুঠিয়া রাজপরগণা অসাধারণ। এখানে কারুকাজ সম্মিলিত রাজ রাজাদের প্রসাদ, অনেক মন্দির রয়েছে। তাছাড়া এই পরগনা দেখতে কোনো টাকা দিতে হয় না। তাই প্রতিবছর ঈদের মধ্যে আমরা পরিবার অথবা বন্ধুরা মিলে বেড়াতে আসি। করোনা কালিন সময় সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেনো এসেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঈদের সময় এসব নিষেধাজ্ঞা কেউ মানছে দেখছেন?

[৫] পাবনার ঈশ্বদী এলাকার মীর কাজল নামের অপর একজন আগত দর্শনাথী বলেন, আমি একটি বেসরকারি চাকুরি করি। বছরে একবার ঈদুল ফিতরের সময় বন্ধুরা মিলে একটু ঘুরাফিরা করি। করোনার কারণে গত এক বছর কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। যদিও এখনো একই অবস্থা কিন্তু মনকে একটু রিফ্রেশমেন্ট করতে নিজেস্ব গাড়িতে বেড়াতে এসেছি।

[৬] রাজপরগনা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, আজ ঈদের দিন রাজবাড়িতে যত লোকজন এসেছে তা গত এক বছরেও আসেনি। এর পেছনে নিরাপত্তাকমী, পুলিশ-প্রশাসনের গাফলতি রয়েছে। তার মধ্যে আগত বেশীর ভাগ লোকজনের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো বালাই নেই। বিগত দিনে এই এলাকায় করোনার কেনো ছোঁয়া না থাকলেও এখন সম্ভবনা বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার বেশীর ভাগ লোকজন করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়বে।

[৭] রাজপরগণা এলাকায় নিরাপত্তা প্রহরী (আনসার সদস্যরা) বলেন পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার তদারকি নেই। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটকরা আমাদের কথা শুনেন না। আমাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে পারছিনা।

[৮] এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, করোনা মহামারিতে জনসমাগম এড়াতে রাজবাড়ি এলাকায় সরকারি নিদর্শনা রয়েছে। সেখানে বেড়াতে আসা অধিকাংশ লোকজন শিক্ষিত এবং সচেতন। তারা এই করোনা কালিন সময় কেনো এমন আচারণ করছেন তা আমার বোধগাম্য নয়। সাধারণ লোকজনের মধ্যে সচেতনতা না আসলে তাদের মারা বা জরিমানা আদায় করা এটা সমাধান নয়। আমাদের সকলকেই সুস্থ্য থাকতে হলে বিধি নিষেধ মেনে চলা উচিত।