শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানীর শ্যামলী ২৫০ শয্যা যক্ষা হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার আরো বলেন, বিরামহীন ভাবে চলছে করোনা মহামারি। কবে শেষ হবে জানা নেই, দুনিয়া জুড়ে যুদ্ধ জয়ের জন্য ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে, কেউ থেমে নেই। ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত সংক্রমণের রূপ বদল করে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
[৩] তিনি বলেন, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে ও সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
[৪] ডা. আয়শা আক্তার আরো বলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কেও মধ্যেই ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়েছে। শুক্রবার কথা হয় হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় এই চিকিৎসকের সঙ্গে। তিনি বলেন বিশেষ করে শিশুদের সতর্ক অবস্থায় রাখতে হবে, কারণ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। করোনাভাইরাস ছড়ায় মানুষের হাঁচি-কাশি ও শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে, হাত ও বস্তুর স্পর্শে। এটি বেশি সংক্রামক।
[৫] সহকারি পরিচালক বলেন, প্রাথমিকভাবে সব ভাইরাসজনিত রোগের উপসর্গ শুরু হয় জ্বর দিয়ে। সবগুলোতেই জ্বর, শরীরব্যথা বা শরীর ম্যাজম্যাজ, অরুচি, বমিভাব, বমি, ক্লান্তি হতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা আর করোনায় গলাব্যথা ও শুকনো কাশিও থাকে। করোনার সংক্রমণের মৃদু উপসর্গ সাধারণ ফ্লুর মতই। কিন্তু এ সময় এই সাধারণ উপসর্গকেও আমলে নিতে হবে, করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
[৬] তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুর উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে র্যাশ। তবে প্রতিবছর ডেঙ্গুর ধরন খানিকটা পাল্টায়। ফলে কাশি হওয়াও বিচিত্র নয়। বমি, ডায়রিয়াও হতে পারে। করোনা আর ডেঙ্গু উভয় রোগেই চোখ লাল হতে পারে। কাজেই জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপর উঠলে সতর্কভাবে উপসর্গগুলো লক্ষ্য করুন ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দিলেন। সম্পাদনা : রাশিদ