রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতে চীন থেকে কোভিড সামগ্রী আমদানির মেয়াদ ফুরিয়েছিল মার্চেই। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জেরে জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে ফের তা বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি। শুধু তাই নয়, কোভিডের চিকিৎসা সামগ্রী, মূলত ভ্যাকসিনের জোগান বাড়াতে এবার গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] ভারতের রাজ্যে রাজ্যে ভ্যাকসিনের জোগান পর্যাপ্ত করতে প্রথমে তেলেঙ্গানা সরকার গ্লোবাল টেন্ডারের কথা জানায়। একইরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লি। বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[৪] গত বছরের এপ্রিল থেকেই চীন-ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। লাদাখ সীমান্তে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে চীনা সেনাবাহিনী গোলমাল পাকায়। এখন কোভিড সংকট মোকাবেলায় দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
[৫] কোভিড বিপর্যয়ে বিভিন্ন দেশের কাছে হাত পাততে হয়েছে ভারতকে। ১৬ বছর আগের ত্রাণ না নেওয়ার সিদ্ধান্তও বদল করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স প্রভৃতি বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে সাহায্য। এমনকি পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশও। এবার ভ্যাকসিন-সহ সমস্ত চিকিৎসা সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা থেকেই বাদ রাখা হয়নি চীনকেও।
[৬] ভারতে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন এই দুই টিকার বন্টন চলছে। কিন্তু যেমাত্রায় টিকাদান কর্মসূচি চলছে তাতে সকলকে টিকা দিতে দিতে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। আর তাতে আরও শক্তিশালী আর ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠবে করোনা।