সমীরণ রায়: [২] একমাস সিয়াম সাধনার পর আগামী কাল ঈদুল ফিতর। ইতোমধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে নাড়ির টানে বাড়ি গেছে মানুষ। একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কারণে সারদেশে চলছে লকডাউন। তারপরেও চরম ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে, ভ্যানে, কাভার্ড ভ্যানে, মাইক্রোবাস, মোটরবাইক, পায়ে হেটেসহ যে ভোবে পারে বাড়ি ফিরেছে মানুষ। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এতে ঢাকায় যানজট নেই বললেই চলে। সকাল থেকেই দেখা গেছে চিরচেনা জ্যামের শহর ঢাকা এখন ফাঁকা। সড়কে যানবাহনেরও নেই কোনো চাপ। দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থেকে দেখা গেছে গণপরিবহন।
[৩] রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় দেখো গেছে, সরকারি বিধিনিষেধের পাশাপাশি মানুষ বাড়ি যাওয়ার কারণে সড়কে নেই গণপরিবহন। আর গণপরিবহন যাও আছে, তাতে নেই যাত্রী। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক আসন খালি রেখে চলছে গণপরিবহন। তারপরেও নেই যাত্রী।
[৪] গণপরিবহন চালকরা বলছেন, অধিকাংশ মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে চলে গেছেন। ফলে যাত্রীও কম। এতে তেলের টাকা উঠানোই মুসকিল।
[৪] রাজধানীর কারওয়ানবাজ, ফার্মগেট, শাহবাগ, বাংলামোটর, পল্টন, গুলিস্তানসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়ও তেমন যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। ফলে ট্রাফিক পুলিশকেও যানজট সালাম দিতে বেগ পেতে হয়নি। বাসে উঠার জন্য যাত্রীদেরও নেই কোনো তাড়াহুড়া। হেলপাররা অনেক ডাকাডাকি করেও আসন পূরণ করতে পারছেন না।
[৫] মগবাজার মোড়ে কথা হয় বেলাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকার লকডাউন ঘোষণার পর গণপবিহন বন্ধ হওয়ার পর ছেড়ে দিলে ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে কিছুটা যানজট শুরু হয়। তবে ঈদের মানুষ গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কারণে ঢাকা এখন ফাঁকা। নেই কোনো যানজট। কোথাও ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়তে হয়নি। মনে হচ্ছে যেন গাড়িতে উঠেছি, আর নেমেছি।
[৬] গণপরিবহন মালিকরা জানিয়েছেন, মানুষ গ্রামে যাওয়ার কারণে রাজধানী এখন ফাঁকা। ফলে গণপরিবহনেও নেই তেমন যাত্রী। এতে গণপরিবহন মালিকরা পড়েছে বিপাকে। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন ছিলো গণপরিবহন বন্ধ। এখন আবার ঈদ। তবে আশা করছি, ঈদের পর সরকারি বিধিনিষেধ তুলে দিলে গণপরিবহণের সুদিন ফিরে আসবে।