শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২১, ১১:৫৫ দুপুর
আপডেট : ১২ মে, ২০২১, ১১:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বিএসএমএমইউতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার: উপচার্য

শাহীন খন্দকার: [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, ৫১৫ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, যে সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা কথা বলতে পারে না ও কানে শোনে না, সে সকল শিশুদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট ৩ জন শিশুকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাকি শিশুদের বরাদ্দপত্র তাদের অভিভাবকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

[৩] উপচার্য বলেন, এ বছর মোট ৬৮ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর মধ্যে এই বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়েছে। ১১ মে বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপাচার্য রোবটিক সার্জারি চালু, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সেন্টার স্থাপন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন।

[৪] অধ্যাপক ডা. মো.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এবং স্পীচ থেরাপির পর যখন কোনো শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু মা-বাবা বলে ডাকে সেই আনন্দের অনুভূতি ওই মা-বাবার কাছে যে কতটা বিশাল তা বলে বোঝানো যাবে না। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। শুধুমাত্র প্রতিটি কক্লিয়ার ডিভাইস এর মূল্যই ১০ লাখ টাকার বেশি। ফলে অভিভাবকদের পক্ষে এই বিশাল ব্যয়ভার বহন করে সন্তানের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হয় না।

[৫] অনুষ্ঠানে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অটোল্যারিংগোলজি- হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের জন্য একটি সুদক্ষ চিকিৎসক টিম। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম এ পর্যন্ত ৫১৫ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করেছে। এসকল শিশুরা এখন কানে শুনতে পারছে এবং কথা বলতে পারছে।

[৬] উক্ত অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়