শরীফ শাওন: [২] স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২৪৮ পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার ইমেইল ও কুরিয়ার যোগে এ নোটিশ পাঠান।
[৩] মঙ্গলবার পাঠানো নোটিশে বলা হয়, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। পরীক্ষার নিয়মে উল্লেখ করা হয়, পুর্বে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকলে ৭ দশমিক ৫ নম্বর এবং গত বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ হলে ৫ নম্বর কাটা যাবে। তবে প্রকাশিত ফলে অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে নিয়মটির সঠিক প্রতিপালন হয়নি।
[৪] অন্তত দুটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের বিপরীতে দুটি করে সঠিক উত্তর এবং অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিকের ক্ষেত্রে কোন সঠিক উত্তর ছিলো না। সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও অসঙ্গতি করা হয়েছে। ঢাকা জেলার কোটায় আবেদনকারীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুরে জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে। উপজাতি কোটায় অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।
[৫] মেধা তালিকা বাদ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ত্রুটিপূর্ণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে প্রকৃতি মেধাবীরা বঞ্চিত হবে।
[৬] ত্রুটি ও অসঙ্গতিপূর্ণ তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা প্রকাশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করলেও দৃশ্যমান কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বরং ২২ মে থেকে ত্রুটিপূর্ণ তালিকা থেকেই ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।