স্পোর্টস ডেস্ক: [২] করোনায় মাঝপথে স্থগিত হয়ে গেছে আইপিএলের ১৪তম আসর। আবার কবে বাকি অংশ কখন হবে তা এখনো অনিশ্চিত। স্বাভাবিভাবে আইপিএলের উন্ডোতে অনেক দেশেরই খেলা বন্ধ থাকে। এবারও এমনটাই হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে টুর্নামেন্ট বন্ধ হওয়ায় আবার শুরু হলে অন্যান্য দেশগুলো নিজেদের ক্রিকেটারদের ছাড়বে কিনা সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। আর ইংল্যান্ড তো জানিয়েই দিল, চলতি বছরে যখনই হোক, ব্যস্ত সূচি বিবেচনায় আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
[৩] গত ৪ মে কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ আক্রান্ত হলে স্থগিত হয়ে যায় আইপিএল। ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নাজুক থাকায় বছরের ফাঁকা কোন সময়ে বিকল্প ভেন্যুতে হতে পারে অসমাপ্ত খেলাগুলো।
[৪] আইপিএল চলতে থাকলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে কয়েকজন ক্রিকেটারকে পেত না ইংল্যান্ড। তবে আইপিএল ভেস্তে যাওয়ায় বদলে গেছে হিসেব নিকেশ। চলতি বছর ইংল্যান্ডের আছে ব্যস্ত সূচি।
[৫] এই অবস্থায় ফের আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে সোমবার ১০ মে গণমাধ্যমে জানিয়ে দেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ডিরেক্টর জাইলস, এখনো তো জানাই যাচ্ছে না নতুন করে আইপিএলের খেলা কোথায় হবে, কবে হবে। আমরা এই গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু করব। এরপর তো অসম্ভব ব্যস্ত সূচি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, অ্যাশেজ আছে। বড় বড় খেলা আছে। ক্রিকেটারদের দেখভাল করার ব্যাপার আছে। তাই মনে হয় না আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র দেওয়া আর সম্ভব।
[৬] নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও কয়েকজন ক্রিকেটারকে ছাড়া নিয়ে তুমুল সমালোচনায় পড়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় অবশ্য দেশের খেলা মিস করতে হচ্ছে না ইংলিশ ক্রিকেটারদের। তবু সেই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি তুলে ধরলেন জাইলস, নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রেক্ষাপট আলাদা ছিল। ওই ম্যাচগুলো জানুয়ারির শেষ ঠিক হয়, ততদিনে ক্রিকেটারদের পুরো আইপিএল খেলার ব্যাপারে চুক্তি হয়ে যায়। যাইহোক এখন আমি সবাইকে পাওয়ার আশা করছি ইংল্যান্ডের খেলার জন্য। - ক্রিকইনফো
আপনার মতামত লিখুন :