রফী হক: আম্মার সঙ্গে আমার এতো স্মৃতি- যখন মনে করি তখন এর একটা ছবি আঁকতে চেষ্টা করি। বাস্তবে কল্পনায় মিলে মিশে আছে সেসব স্মৃতি। আম্মাকে নিয়ে অনেক লিখেছি। আরও অনেক লেখা লিখলেও শেষ হবে না। আজ কিছু লিখবো না। আম্মা তুমি যেখানেই থাকো আমি ঠিক মনে করি তোমাকে। তুমি প্রতিটি দিন আমার সঙ্গে থাকো। তোমার আনন্দ ও দুঃখের একমাত্র সঙ্গী ছিলাম আমি। আজীবনই তুমি কষ্ট করেছো, যা তোমার একদম পাবার কথা ছিল না। কিছু কিছু মানুষের জন্মই হয় বোধহয় কষ্ট পাবার জন্যে- তুমি তার অনন্য উদাহরণ। এখন তুমি সকল কষ্টের ঊর্ধ্বে।
এ কথা মনে করে হলেও শান্তি পাই। খুব দুষ্টু ছিলাম আমি। মনে পড়ছে একদিন তুমি আমাকে আমার দুষ্টুমির জন্য বেদম মেরেছিলে। তারপর হাত পা বেঁধে রেখেছিলে। সন্ধ্যায় আব্বা বাড়ি ফিরলে আমাকে মায়া করে ‘বাজান...আমার বাজান’ বলতে বলতে জড়িয়ে ধরলেন এবং হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিলেন। আমি মুক্ত হয়েই ডাইনীর আদলে তোমার মুখের ছবি আঁকলাম- আর ছবির পাশে বড় বড় হরফে লিখলাম ‘সুফিয়া সাবধান’। বোধহয় সেই প্রথম আমার ছবি আঁকার হাতে খড়ি। ছবিটি এঁকেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলাম । সে আরেক গল্প। আম্মা, তোমাকে আমি অনেক জ্বালাতাম। আই লাভ ইউ আম্মা। ফেসবুক থেকে