মাসুদ আলম, এফ এ নয়ন : [২] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের ১০ দিন ছুটির দাবিতে সোমবার বেলা ১১টায় টঙ্গীতে হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করে। পরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে পুলিশ সদস্য ও শ্রমিকসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হন।
[৩] এ ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পুলিশ তাদের সরাতে গেলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়ে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এতে নারীসহ প্রায় ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন।
[৪] কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের ৩দিনের ছুটি দেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের ৩দিনের ছুটি দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ করে এবং কারখানা ভাংচুর চালায়।
[৫] এদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকার স্টার লিংক ডিজাইন নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা ঈদে ১২ দিনের ছুটির দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করলে তারা রাস্তা থেকে সরে যান।
[৬] গাজীপুর মহানগর পুলিশের ডিসি ইলতুৎ মিশ জানান, শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে প্রথম কারখানা পরে মহাসড়কে এসে রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর শুরু করলে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ বাধ্য হয়ে টিয়ারসেল এবং রাবার বুলেট ছুড়ে।
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ,