মিনহাজুল আবেদীন: [২] কোভিডে মৃত মায়ের মরদেহ নিয়ে কিভাবে, কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন, নিজ ভূমে মাকে দাফন করতে পারবেন কিনা এইসব নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন নাহিদ নাসের তৃণাসহ তার দুই বোন ও এক চাচাতো ভাই। আর শোকে কাতর বাবা।
[৩] দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে অনাপত্তিপত্রের (এনওসি) জন্য আবেদন করেছেন তারা, কিন্তু রোববার বিকাল পর্যন্ত পাননি তারা। মৃত মাকে রাখা হয়েছে হাসপাতালের হিমঘরে।
[৪] দিল্লি থেকে টেলিফোনে রোববার বিবিসি বাংলাকে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তৃণা জানায়, ‘আমাদের মনের অবস্থা যে এখন কেমন তা বলে বোঝাতে পারবো না। কখন দেশে যেতে পারবো? বিমান চলছে না, ফলে কীভাবে এতোদূর মায়ের মরদেহ নিয়ে যাবো? মায়ের দাফন কোথায়, কীভাবে হবে এসব চিন্তায় মাথা এলোমেলো হয়ে আসছে’।
[৫] জানা গেছে, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য গত ২৬শে মার্চ দিল্লিতে যান গুলশান আক্তার। সঙ্গে ছিলেন স্বামী, তিন মেয়ে এবং তাদের চাচাতো ভাই এবং বাসার গৃহকর্মী। দিল্লির উপকণ্ঠে ফিরোজাবাদ এলাকায় হাসপাতালের কাছে একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। এর পর একে একে সবাই কোভিডে আক্রান্ত হয়। কিন্তু সবাই আক্রান্ত হয়ে ভালো হলেও শেষ রক্ষা হয়নি মায়ের। গুলশান আক্তারের শারীরিক অবস্থা আশংকা হলে আইসিইউতে নিয়ে ভেন্টিলেটরে নেওয়া হয়। শুক্রবার ডাক্তাররা জানান হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।
[৬] চেন্নাইতে চিকিৎসা করতে গিয়ে একইভাবে আটকা পড়েছেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং তার স্ত্রী। তারা বলেন স্ত্রীর শরীরের যে অবস্থা তাতে স্থলপথে নেয়া সম্ভব নয়, ফলে এনওসির জন্য আবেদন করেনি।
[৭] এদিকে যশোরের সাংবাদিক সাজেদ রহমান জানান, গত ১৫ দিনে ভারত থেকে ফেরা ২৫ জন কোভিড পজেটিভ হয়েছেন। এখনো হাসপাতালে ১৭ জন কোভিড রোগী ভর্তি আছেন।
[৮] সর্বশেষ তথ্য অনুসারে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ জন বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে আটকে আছে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান